করোনা অতিমারীর গ্রাস ভারতীয় জনজীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। কখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও হঠাৎই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গত বছর থেকেই একের পর এক শিল্পীকে হারাতে শুরু করেছে। মারা গিয়েছেন কিংবদন্তী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (soumitra chatterjee), সুরকার শ্রাবণ রাঠোর (shravan Rathod) সহ অনেক শিল্পী। এবার করোনা কেড়ে নিল কাজল (Kajol)-এর বন্ধু ও বলিউডের সম্ভাবনাময় সাংবাদিক-প্রযোজক রায়ান স্টিফেন (Rayan stefen)-কে।
শৈশবের বন্ধু রায়ানের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে গিয়েছেন কাজল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করতেও যথেষ্ট সময় লেগেছে তাঁর। কাজলের ইন্সটাগ্রাম পেজ ভরে উঠেছে রায়ান ও কাজলের বন্ধুত্বের কোলাজে। কোলাজগুলি শেয়ার করে কাজল রায়ানকে জিজ্ঞাসা করেছেন, স্বর্গ কোথায় যেখানে মৃত্যুর পর গিয়ে সবাই খুশি রয়েছে! কাজলের এই জিজ্ঞাসা যেন প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এসেছে তাঁর কাছে। তাই কাজল আবারও লিখেছেন, রায়ানকে সারাজীবন ভালোবাসবেন তিনি, তাঁদের বন্ধুত্ব শুধু সারাজীবনের নয়, জীবনের পরেও রয়েছে তার অস্তিত্ব।
রায়ানের নম্র ব্যবহারের ফলে রায়ানকে অনেকেই পছন্দ করতেন। রায়ানের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করে আলিয়া ভাট (Alia bhatt) লিখেছেন, ‘রেস্ট ইন পিস, রায়ান’। কিয়ারা আডবাণী (kiyara advani) লিখেছেন, রায়ান সবাইকে ছেড়ে বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। রায়ানের আরও এক বন্ধু দিয়া মির্জা (Diya Mirza)-ও রায়ানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন। তিনি লিখেছেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, রায়ান নেই। রায়ানের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন নেহা ধুপিয়া (Neha dhupiya), মনোজ বাজপেয়ী ( Manoj bajpayee) সহ একাধিক তারকা।
সত্যিই রায়ানের এই অকাল প্রয়াণ মেনে নেওয়া কষ্টকর। সাংবাদিকতার মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করলেও এরপর পাবলিক রিলেশনের কাজ করতে শুরু করেন রায়ান। ‘জিসম’, ‘পাপ’, ‘এলওসি’-এর মতো ফিল্মের পিআর-এর কাজ করেছিলেন রায়ান। এরপর তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা তৈরী করেন যার নাম ‘ইলেকট্রিক অ্যাপলস এন্টারটেনমেন্ট’। রায়ানের প্রযোজনা সংস্থা থেকে তৈরী হওয়া ফিল্মগুলি ছিল বিনোদন ও সমাজের প্রতি নতুন বার্তার সংমিশ্রণ। ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ও ‘দেবী’ তৈরী হয়েছিল রায়ানের প্রযোজনায়। রায়ানের মৃত্যুতে বলিউডের আকাশ থেকে খসে পড়ল এক সম্ভাবনাময় নক্ষত্র।
View this post on Instagram