সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রোলিংয়ের কেন্দ্রে রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। বছর কয়েক আগেই প্রথম দুজনের সম্পর্কের গুঞ্জন জায়গা করে নেয় সংবাদ শিরোনামে। সে সময়ে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন কাঞ্চন। অভিনেতার বিরুদ্ধে শ্রীময়ীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। তারপরের ঘটনা সকলেরই জানা। বিগত কয়েক বছরে একটানা চর্চায় ছিলেন কাঞ্চন শ্রীময়ী। তেমনি ট্রোলিংও কম হয়নি তাঁদের নিয়ে। তবে পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ে সেরে নেওয়ায় ট্রোলের হার বেড়েছে দ্বিগুণ।
উপরন্তু কাঞ্চন শ্রীময়ীর রিসেপশনে একটি নিষেধাজ্ঞা লেখা বোর্ডকে কেন্দ্র করে সমালোচনা কার্যত থামার নাম নেই। ‘সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ’ লিখে নেট পাড়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন নববিবাহিত জুটি। কিন্তু তারপরেই একটি ভিডিও বার্তায় পালটা তোপ দাগেন শ্রীময়ী। তবে তাতে সমালোচনা কমার বদলে আরো তেড়েফুড়ে ওঠে। শেষমেষ বাধ্য হয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাঞ্চন শ্রীময়ী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পোস্টের কমেন্ট বক্স লিমিটেড করে দিয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ চাইলেই যে কেউ এখন আর তাঁদের পোস্টে কমেন্ট করতে পারবে না। মনে করা হচ্ছে, লাগাতার ট্রোল থেকে বাঁচার জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন কাঞ্চন শ্রীময়ী। এমনটা তাঁদের আগেও করতে দেখা গিয়েছে। যদিও তাতে ট্রোলিং কমেনি এতটুকুও। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চন শ্রীময়ীর ছবি, ভিডিও নিয়ে একের পর এক মিম তৈরি হয়েই চলেছে।
দীর্ঘ জল্পনার পর টলিউড অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চনের সঙ্গে ধুমধাম করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী। বছর ৫৩-র কাঞ্চনের এটা তৃতীয় বিয়ে হলেও ২৬ বছর বয়সে প্রথম বার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাই যুবতী প্রেমিকার স্বপ্নপূরণে কোনো খামতিই রাখেননি কাঞ্চন। বিয়ের এক সপ্তাহ পর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যুগলে স্ত্রীর বাপের বাড়ি যাওয়ার নিয়ম রয়েছে বাঙালি মতে। নববিবাহিতা শ্রীময়ীও কাঞ্চনকে নিয়ে পৌঁছেছেন অষ্টমঙ্গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
View this post on Instagram