BollywoodHoop Plus

Lata Mangeshkar: বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো গায়িকা হতেন না লতা, কিন্তু কেন!

“ এ নদীর দুই কিনারে দুই তরণী…… কাছে যেতে তাই পারিনি”- গত ৬ ফেব্রুয়ারি এপারের তরণী বেয়ে ওপারে পাড়ি দিয়েছেন ভারত রত্না লতা মঙ্গেশকর। আশঙ্কা একটাই তাঁর তৈরি এই সুরমহল আবার না বেসুর হয়ে যায়। এই সুরমহল তৈরিতে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে জয়পতাকা অবশ্য লতাজির হাতেই ছিল। সাফল্যের পিছনে যে ঝঞ্ঝাট থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। নয় কি!

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪২ সালে চলে যান লতাজির বাবা। ১৩ বছর বয়স হতে না হতেই সংসারের সমস্ত ভার কাঁধে নিয়ে নেন। উপার্জন করতে পুনরায় শুরু করলেন অভিনয়। সেভাবে কোনো রোল পাননি। পেলেও ফ্লপ হয়ে গিয়েছে। মোট আটটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন একটাও সাফল্য পায়নি। গানকেও তাঁর বাবা-মা মেয়ের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাননি। তাই গানের প্রতি টান থাকলেও পা বাড়াতে অল্প সময় নিয়েছিলেন।

অবশেষে এগিয়ে গেলেন গানের দিকে। প্রথমে মারাঠি জগতেই পা রাখলেন। বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি সিনেমা ‘কিতি হাসাল’ ছবির “নাচু ইয়া গাদে, খেলু সারি মানি হাউস ভরি” গানটি গেয়েছিলেন। রচনা করেছিলেন সদাশিবরাও নেভরেকরজি। দুর্ভাগ্যবশত গানটি চূড়ান্ত হয়েও বাদ দেওয়া হয়েছিল ছবি থেকে। এরপর চলে হিন্দি জগতে। ভাগ্য সহায়তা করে। একের পর এক সুপার হিট গান গেয়ে সুরমহলের সম্রাজ্ঞী হয়ে যান।

নবযুগ চিত্রপট সিনেমা কোম্পানির মালিক মাস্টার বিনায়ক (বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি) লতাজির বাবার বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তাই পিতৃহারা লতাকে অভিনয় ও সংগীত মহলের পথপ্রদর্শক তিনিই ছিলেন। খুব বয়সে হয়ত পিতৃহারা হয়ে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে ভারত রত্নাকে। কিন্তু একটু নিষ্ঠুর হয়ে বলতেই হবে, হয়ত তাঁর বাবা তখন জীবিত থাকলে লতার আর ভারত রত্ন প্রাপ্ত লতা মঙ্গেশকর হয়ে ওঠা হতোনা।

Related Articles