Hoop PlusReality show

Lata-Sandhya: দাদাগিরির মঞ্চে সুর সন্ধ্যা, প্রয়াত লতাজি ও সন্ধ্যা দেবীর স্মরণে বিশেষ আসর

ভারতের দুই শ্রেষ্ঠ সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে, মহাশূন্যে বিলীন হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সুর থেকে গিয়েছে মানব জীবনের অন্তরে। প্রতি মুহূর্তে তাঁদের সুর ও তালকে ঘিরে স্মৃতিচারণ, শ্রদ্ধাঞ্জলী চলতেই থাকছে। দাদাগিরির মঞ্চ জুড়েও অনুষ্ঠিত হবে লতা-সন্ধ্যার সুরের সমাহার। জি বাংলা কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি সন্ধ্যার নাম রেখেছে, ‘সুরের জগতের নক্ষত্রদের শ্রদ্ধাঞ্জলী।’ শ্যুটিং ইতিমধ্যে শেষওই সুর সন্ধ্যার সাক্ষী হতে উৎসুক হয়ে রয়েছে দর্শকমহল।

প্রোমো প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যেই। দাদাগিরির মঞ্চে ফুলের মালা দিয়ে সাজানো ছিল লতাজি এবং সন্ধ্যা দেবীর ছবি। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী ও হৈমন্তী শুক্লা সহ বেশ কিছু স্বনামধন্য গুণী শিল্পী। জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী শ্রাবণী সেনও নজরে পড়লেন। সবার সুরে সুরে শুরু হলো স্মরণসভা। সৌরভ গাঙ্গুলীর ভাষায়, “এনারা ছিলেন ভারতীয় সুরের জগতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, গর্ব।” স্মৃতিচারণ করলেন মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেক বিশিষ্টজন।

‘চঞ্চল মন আনমনা হয় যেই তার ছোঁয়া লাগে’ গেয়ে উঠলেন অরুন্ধতী হোম চৌধুরী। কি অপরূপ সুর। তবুও যেন কোথাও খামতি রয়ে যাচ্ছে। নিজেই বলে বসলেন। লতাজির কণ্ঠে এই অপরূপ বাংলা গান বাঙালির জগতে মিলেমিশে গিয়েছিল একেবারে। এরপরেই গেয়ে উঠলেন হৈমন্তী শুক্লা, “ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা।” ধন্য হয়ে গেল কান। সন্ধ্যা দেবীর কণ্ঠে এই গান কি অপরূপটাই না শোনায়। গান শেষে হৈমন্তী শুক্লা নিজেই বললেন, “এইসব স্মৃতিগুলো গায়ে কাঁটা দেয় রে।” সৌরভও সম্মতি দিলেন তাঁর কথায়, “বাঙালি এইসব গান কোনোদিন ভুলবেনা।”

বলা বাহুল্য, বাঙালির জীবনে এইসব গান এক অতুলনীয় ছাপ রেখে যাবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রেখে যাবে। প্রোমোটি পেয়ে দর্শক তো বলে বসেছেন, “কবে আসবে পুরো এপিসোড।” কেউ কেউ আবার অল্প দুঃখিত বোধও করেছেন আর এক বাঙালি কিংবদন্তি বাপ্পি লাহিড়ীর কথা ভেবে। প্রশ্ন তাঁর স্মরণ সভা কেন হলো না? নেটিজনের এক অংশের মতে হয়ত অনেক আগেই এই স্মরণ সভার শ্যুটিং সম্পন্ন হয়েছে। তখনও বাপ্পি দা আমাদের ছেড়ে যাননি। তাই কিছুদিন পরেই বাপ্পি দার স্মরণেও নতুন এপিসোড আসবে।