Mutton: খাসির মাংস কেনার আগে জেনে নিন এই জরুরি তথ্যগুলি, সময় থাকতে হন সতর্ক
রবিবারের দুপুর কিংবা যেকোনো ছুটির আলসেমি ভরা দিনে এক থালা গরম ভাত আর আলু দিয়ে খাসির মাংসের (Mutton) ঝোল পেলে বাঙালি আর কিছু চায় না। ছোটবেলারও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ছুটি আর খাসির মাংসের সঙ্গে। রবিবার মানেই পাড়াময় গন্ধে ম ম, প্রেশার কুকারের সিটির আওয়াজ আর ভরপেট খেয়ে ভাতঘুম। তবে মাটন প্রীতি যতই বেশি হোক না কেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাগাম টানার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আবার তারাই জানাচ্ছেন, খাসির মাংস স্বাস্থ্যকর ভাবেও খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে খাসির কোন অংশের মাংস ভালো হবে এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে রান্না করার উপায়ই বা কী, তা অনেকেই জানে না। সেই মুশকিল আসানের জন্যই রইল এই প্রতিবেদন।
একটা বয়সের পর থেকে রেড মিট এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে এতে পুষ্টিগুণও কিন্তু প্রচুর রয়েছে। বিপুল পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন রয়েছে খাসির মাংসে। উল্লেখ্য, ১০০ গ্রাম মাটনে প্রায় ৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যাতে একজন মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার অর্ধেকের বেশি পূরণ হয়ে যায়। পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং জিঙ্ক এর মতো উপাদান যা শরীরের পক্ষে ভালো। মাটন শরীরকে গরম রাখে বলে শীতকালে খাওয়া ভালো।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, খাসির মাংস কেনার আগে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কিছু বিষয় নজরে রাখা উচিত। যেমন ছাগলের বয়স। অবাক লাগলেও চিকিৎসকদের মতে, মাংস কেনার ছাগলটির বয়স জানা জরুরি। শিশু বা বেশি বৃদ্ধ হলে মাংস না কেনারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ছাগলটির ওজন হতে হবে ৮ থেকে ১০ কেজি। মাংসের রঙ গোলাপি হলে সবথেকে ভালো। অনেকেই মাটনের ক্ষেত্রে হাড় ছাড়া সলিড পিস পছন্দ করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে হাড় থাকা উচিত মাটনে। মাংস এবং হাড়ের অনুপাত যেন হয় ৭০:৩০।
চিকিৎসকরা আরো জানাচ্ছেন, ছাগলের সামনে পা, বুক, ঘাড়, পাঁজর, গলা এবং লিভারের মাংস নিলে সবথেকে ভালো স্বাদ এবং একই সঙ্গে পুষ্টিও মিলবে। পাশাপাশি উরুর মাংসও কারি বানানোর জন্য ভালো হবে। রান্নার সময়ে মাটনের পিস বড় থাকলে তা সম্পূর্ণ রান্না হতে যেমন বেশি সময় নেয়, তেমনি স্বাদও ভালো পাওয়া যায় না। তাই মাংসের পিস ছোট রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মাংসে যেহেতু স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি তাই বেশি পরিমাণে খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে পারে। পাশাপাশি বেশি পরিমাণে রেড মিট খেলে বাড়ে অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি। তাই এমন পরিমাণে খাওয়া উচিত যাতে শরীরে প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দিনে ৭০ গ্রামের বেশি রেড মিট খাওয়া উচিত নয়।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।