নারী শক্তির জয়, বাংলার দর্শকদের এক সুতোয় বেঁধে রাখার দ্বায়িত্বে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
বাঙালীর প্রত্যেকটা সন্ধ্যে এখন তাঁর হাতের মুঠোয়। দিনের পর দিন বাংলা ধারাবাহিককে এমন একটা স্তরে নিয়ে গেছেন তিনি, যিনি জানেন বাঙালীর স্বাদ, বাঙালীর মনের কথা। সেই জন্যেই তৈরি করতে পেরেছেন ‘মোহর’, ‘শ্রীময়ী’, ‘খড়কুটো’ বর্তমানে তিনি প্রযোজক এবং লেখিকা উভয়ই। ম্যাজিক মোমেন্টস প্রযোজনা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধারও তিনি। স্বয়ং লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay) ২০০৯ সালে প্রথম তাঁর প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেন, এরপরেই ব্যাক টু ব্যাক বাংলা হিট ধারাবাহিক দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন।
ছোটবেলায় যুববাণীতে গল্প পাঠানোর সখ ছিল লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। ক্লাস সিক্সে প্রথম প্রেমের গল্প লিখেছিলেন তিনি। সেই গপ্পের নাম রেখেছিলেন ‘সত্যি প্রেমের গল্প’। এমনকি কলেজে পড়াকালীন বিভিন্ন গল্প কলেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশ করতেন। সেই রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তৈরি করে ফেললেন ‘ইষ্টিকুটুম’ এর মতন দুরন্ত প্রেম, রোমাঞ্চ ও সাবলীল পারিবারিক গল্প। যেই গল্প দিয়ে ‘বাহা’ হয়ে উঠেছিল ঘরের মেয়ে। তারই ‘ইষ্টি কুটুম’ এখন হিন্দিতে ‘ইমলি’ নামে টেলিকাস্ট হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, ‘কুসুম দোলা’ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন নারী চরিত্র কতটা শক্তিশালী হতে পারে। সেই সময় ‘ইমন’ চরিত্রও সকলের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। ‘স্টার জলসার’ ‘ইচ্ছে নদী’ দেখে সকলে ভালোবেসে ফেললেন পর্দার অনুরাগকে অর্থাৎ বিক্রমকে। অনুরাগ-মেঘলার প্রেম জমে ক্ষীর। বিক্রমের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। কিন্তু পিছনে যিনি আসল কারিগর ছিলেন তিনি হলেন ম্যাজিক মোমেন্টস প্রযোজনা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার এবং চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। একটা সময় ‘জলনূপুর’ দিয়েও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন একজন শিল্পীর জীবনে নাচের গুরুত্ব। আবারও নতুন করে ফিরেছেন লীনা। ‘দেশের মাটি’র হাত ধরে একটা দুর্দান্ত টিম নিয়ে ফিরেছেন। বহুদিন পর রাহুল কে ধারাবাহিকে প্রতিদিন দেখা যাবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর লেখা কাহিনি থেকেই হিন্দি, কন্নড়, মরাঠি, তামিল, তেলুগুতে একাধিক শো চলছে।
শুধুই যে ধারাবাহিকে নিজের প্রতিভার বিকাশ করেছেন তা নয়, বড় পর্দাতেও এনেছেন অভিনবত্ব। করেছেন ‘মাটি’, করেছেন ‘সাঁঝবাতি’। সূত্রের খবর খুব শীঘ্র বাংলাকে পাশে রেখে মুম্বাইয়ে আসর জমাবেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)।