সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের মন্তব্যে সিরিয়ালের টিআরপি প্রভাবিত হয়না, স্পষ্ট বক্তব্য লীনা গাঙ্গুলীর
লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly) -কে বলা যায় নারীকেন্দ্রিক চিত্রনাট্যের পথিকৃৎ। ‘বিন্নি ধানের খই’, ‘খড়কুটো’ এবং আরও বহু সিরিয়ালে নারীচরিত্রের বিভিন্ন রঙ তুলে ধরেছেন লীনা। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন ‘শ্রীময়ী’।
‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে একদা গৃহবধূ শ্রীময়ীর স্বামী তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ফলে সংসার ভেঙে যায় শ্রীময়ীর। শ্রীময়ী নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। কিন্তু তারপরেও প্রাক্তন স্বামীর সংসারে কোনো সমস্যা হলেই ছুটে যায় শ্রীময়ী। ‘শ্রীময়ী’ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে রয়েছে বিভাজন। দর্শকদের একাংশের মতে, শ্রীময়ী স্বার্থপর। শ্রীময়ী সবাইকে ব্যবহার করে। আবার অনেকের মতে, শ্রীময়ী একটু বেশিই ভালো যা হয়তো অলীক কল্পনা। কিন্তু লীনা মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের কথা পাত্তা না দেওয়াই ভালো। কারণ তাঁরা শ্রীময়ীর চরিত্রকে হয়তো সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। কোনো মা চান না, তাঁর মেয়ে একটি খারাপ লোককে বিয়ে করুক। এই ঘটনা নিয়ে বাস্তবেও মা-মেয়ের মধ্যে দ্বৈরথ তৈরী হয় যা শ্রীময়ীতেও দেখানো হয়েছে। অপরদিকে ‘শ্রীময়ী’-র টিআরপি যথেষ্ট ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের কথা মানলে টিআরপি এত ভালো হত না বলে মনে করেন লীনা।
এমনকি ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani haldar)-ও লীনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাস্তবে কি সত্যিই কোনো মহিলা শ্রীময়ীর মতো ভালো হতে পারেন? তবে ইন্দ্রাণী পরে নিজেই বুঝেছেন ধারাবাহিক সমাজকে বার্তা দেয়। শ্রীময়ী প্রকৃতপক্ষে সেই বার্তাবাহী নারী। শ্রীময়ী আসলে একটি রূপক যে দেখিয়ে দেয় সমাজে এতটা ভালো মানুষেরও প্রয়োজন রয়েছে।
একটু অন্যরক ভাবে যদি ভেবে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে শ্রীময়ী কিন্তু মানসিক দিক দিয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী একজন নারী। তার প্রাক্তন স্বামীও কিন্তু মনে মনে তা জানে। ফলে বিপদে শ্রীময়ীর কথাই তার মনে হয়। এখানেই শ্রীময়ী চরিত্রটি জিতে যায় যখন দেখা যায় আপাতদৃষ্টিতে যারা তাকে একসময় অবলীলায় অপ্রয়োজনীয় তালিকায় ফেলে দিয়েছিল, আজ তারাই কিন্তু তাকে বারবার বিপদের সময় ডাকে। শ্রীময়ী তার আশেপাশের মানুষের ধারণা বদলাতে পেরেছে। সমাজে মেয়েদের কি স্থান হওয়া উচিত তার বার্তা কিছুটা হলেও দিতে পেরেছে শ্রীময়ী।