মিঠুনের ডায়লগ ধরে ফেসবুক লাইভে মদন মিত্রের হুঁশিয়ারি, ভাইরাল ভিডিও!
নুসরত( nusrat jahan)-কে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র (Madan mitra) অভিযোগ করলেন, তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। ফলে এবার একাই ফলহারিণী কালীপুজো করতে করতে ফেসবুকে লাইভ করলেন তিনি। তার সাথেই সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun chakraborty)- র ডায়লগও বললেন মদন।
কালো টি-শার্ট, কালো জিনস ও তার সাথে কালো সানগ্লাস পরে হাতে মোমবাতি নিয়ে মা কালীর আরতি করতে করতে মদন আঠেরো মিনিটের লাইভ করলেন ফেসবুকে। তাঁর দাবি, তাঁর বাড়ির লোক জানেন না, তিনি ফলহারিণী কালীপুজো করছেন। তাই ফেসবুক লাইভ করে তিনি সবাইকে কালীপুজোর কথা জানালেন। তাঁর এই কালীপুজোয় উপস্থিত ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। মদনের দাবি, কিছু মানুষ চাইছেন, মদন মিত্র খতম হয়ে যাক। কিন্তু তিনি মনে করেন, ‘রাখে হরি, মারে কে’। মদন মিঠুনের ফিল্মের ডায়লগ ধার করে বলেছেন, তিনি হেলেও নন, ঢোঁড়াও নন, তিনি জাত গোখরো। তাই মদন বলেছেন, গোখরোর লেজে যাঁরা পা দিচ্ছেন, তাঁরা যেন সাবধানে থাকেন। কিন্তু হঠাৎই হলটা কি মদনের সাথে?
মদন জানিয়েছেন, 7 ই জুন, সোমবার তিনি ভবানীপুরের বাড়িতে তাঁর নাতির সঙ্গে খেলছিলেন। হঠাৎই ভীষণ শব্দ করে কাছাকাছি কিছু একটা ফাটে। মদনকে সবাই পাঁজাকোলা করে বাড়ির বাইরে নিয়ে এলেও মদনের চিন্তা ছিল তাঁর নাতির নিরাপত্তা নিয়ে। তবে পরে নাতিকে সুস্থ শরীরে খেলতে দেখে নিশ্চিন্ত হন মদন। মদন জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি 1876 সালে তৈরী। বাড়িটির একতলা আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। কমপক্ষে কুড়ি লাখ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন মদন। তবে মদন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য। এদিন আরতি করতে করতে আবেগতাড়িত হয়ে মদন বলেন, তাঁর এত বড় ক্ষতি কেন হচ্ছে? আর কত ক্ষতি হবে তাঁর? পুজোর সময় সকলের মঙ্গলকামনা করে মদন বলেছেন, তিনি প্রতিহিংসার জন্য পুজো করছেন না। তিনি মা কালীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, সবার পাপ তাঁকে দিয়ে মানুষকে যেন পূণ্যদান করেন মা।
এদিন কারও নাম না করে মদন বলেছেন, আজ যাঁরা তাঁর ক্ষতি চাইছেন তাঁদের চূড়ান্ত বিপদের দিনে তিনি ঈশ্বরের মতো তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের জীবনের চরম ক্ষতির দিনে তিনি বন্ধুর মতোই পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন মদন। এমনও হতে পারে, তাঁরা হয়তো একদিন মদনের কাছে এসে ক্ষমা চাইবেন। তবে মদন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অনেকে তাঁকে অপছন্দ করলেও দল যেদিন বেইমানে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, তিনি কিন্তু সেদিন শিরদাঁড়া সোজা করে নিজের সততার পরিচয় দিয়েছেন। ফলে আজ যাঁরা তাঁর ক্ষতি করতে চাইছেন, তাঁরা একদিন বুঝবেন, তাঁরা না জেনে কত বড় ভুল করেছেন।