Madhubani Goswami: মধুবনীর পুজো কাটবে একরত্তি খুদে কেশবকে ছড়া শুনিয়ে
পুজো মানেই সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা সকলেই কখনও নস্টালজিক হয়ে পড়েন, কখনও বা একটু অন্যরকম পুজো প্ল্যানিং-এ মেতে ওঠেন। অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী (Madhubani Goswami) তার ব্যতিক্রম নন। এবারের পুজোয় তাঁর ও রাজা (Raja Goswami)-র সঙ্গী তাঁদের পুত্রসন্তান কেশব (Keshab)।
সল্টলেকে শৈশব কেটেছে মধুবনীর। তাঁদের ব্লকের পুজোয় আনা হত একচালার ডাকের সাজের সাবেকি প্রতিমা। তখন থিম নিয়ে কিন্তু কেউ মাথা ঘামাতেন না। কিন্তু তাতে পুজোর আনন্দ কিছু কম হত না। গান শিখতেন মধুবনী। সপ্তমীর দিন পাড়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতি বছর গান গাইতেন তিনি। তাই গলার খেয়াল রাখতে হত। তাঁদের বাড়িতেই রিহার্সাল হত। পুজোর কিছুদিন আগে থেকেই দল বেঁধে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি, মজা, হই-হুল্লোড় হত। পুজোর চারটে দিন কলকাতায় থাকতেন মধুবনী। এখনও তাই। কলকাতা ছেড়ে পুজোর সময় বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না তিনি। রাস্তা হোর্ডিং-এ মুড়ে গেলেও কলকাতা প্রাণময়। তা অন্য কোথাও নেই।
ছোট থেকেই ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতে পছন্দ করেন না মধুবনী। ছোটবেলায় পুজোর চারটে দিন সকাল থেকে মণ্ডপের সামনে চেয়ারে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেন। সম্ভব হলে দুই বেলাই নতুন জামা পরা হত। ঠাকুরের মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকেও সাধ মিটত না। শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য বাড়ি ফিরতেন। তবে অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত হওয়ার পর এখন আর তা হয়ে ওঠে না। 2019 সালে ‘ফাগুন বৌ’ ধারাবাহিকে কাজ করার সময় হঠাৎই রাজা এসে বলেন, এক ফুটবল দল আয়োজিত শারদ সম্মানে বিচারক হিসাবে তাঁর ডাক পড়েছে। ওঁরাই চতুর্থীর রাতে 35 টা প্রতিমা দেখাবেন। মধুবনীর ডাক যেন মা দুর্গা শুনেছিলেন। সারা জীবনে এত ঠাকুর দেখেননি তিনি। সেবার সন্ধ্যা সাতটায় বেরিয়ে ভোর চারটেয় বাড়ি ফিরেছিলেন
মধুবনী ও রাজা দুজনেই খেতে ভালোবাসেন। তাঁদের চেনা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রতি বছর খেতে যান তাঁরা। তবে এই বছর ছেলে কেশবের জন্য তাঁদের অনেক কিছুই মেনে চলতে হবে। কারণ সে এখনও স্তন্যপান করে। ফলে করোনা অতিমারীর কারণে বাইরে খুব কম বেরোবেন তাঁরা। বাড়িতেই অধিকাংশ সময় কাটবে পূজাবার্ষিকী পড়ে। কেশবকে ছড়া শোনাবেন মধুবনী। এভাবেই কেটে যাবে এই বছরের পুজো।
View this post on Instagram