কিছুদিন আগে আর্থিক অভাবের কারণে শিরোনামে এসেছিলেন শগুফতা আলি (shagufta ali)। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী টিভি ও ফিল্মি দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ছত্রিশ বছর ধরে তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। তাঁর চূড়ান্ত অভাবের সংসারের কথা জনসমক্ষে আসার পরেই শগুফতাকে বিশেষ অতিথি হিসাবে নিয়ে আসা হয় কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় ডান্স রিয়েলিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে -3′-এর মঞ্চে।
সেখানে সঞ্চালক হর্ষ লিম্বাচিয়া (harsh limbachiya)-এর অনুরোধে শগুফতা শেয়ার করেন নিজের কাহিনী। তিনি জানিয়েছেন, বিগত ছত্রিশ বছর ধরে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। কিন্তু গত চার বছর ধরে তাঁর সংসারে নেমে এসেছে দারিদ্র্য। চার বছর ধরে তিনি অনেক অডিশন দিয়েও কোনো কাজ পাননি। এর মধ্যেই হাই ডায়াবেটিসের রোগী শগুফতার পায়ের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁর চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হয়েছিল। নিজের কথা বলতে বলতে মঞ্চেই সবার সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন পোড়খাওয়া অভিনেত্রী শগুফতা। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন ভারতী (Bharti singh)। শগুফতা বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রি তাঁর পরিবার।
শগুফতার কথায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মঞ্চে উপস্থিত প্রতিযোগীরা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনিল কাপুর। তিনিও স্তম্ভিত হয়ে যান শগুফতার কথা শুনে। বিচারক তুষার কালিয়া (Tushar kalia) ও ধর্মেশ (dharmesh), যাঁরা নিজেরাও একসময় দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে এতদূর পৌঁছেছেন, তাঁদের চোখেও ছিল জল। বিচারকের আসনে বসে থাকা মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) অনুভব করতে পারছিলেন শগুফতার কষ্ট। তিনি উঠে গিয়ে শগুফতাকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর মাধুরী ‘ডান্স দিওয়ানে-3′-এর পক্ষ থেকে শগুফতার হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। শগুফতা বলেন, ধন্যবাদ জানানোর ভাষা তাঁর কাছে নেই।
মূলতঃ শগুফতার উপরেই নির্ভর করে থাকেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শগুফতাই তাঁদের পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ। একসময় ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু গত চার বছর ধরে তাঁর হাতে কাজ নেই। ফলে তাঁকে নিজের যাবতীয় গয়না, গাড়ি বেচে সংসার চালাতে হচ্ছে। একসময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায়, তাঁর ব্যাঙ্কের সঞ্চিত অর্থ শেষ হয়ে যায়। নতুন করে বিক্রি করার মতো কিছুই ছিল না। শগুফতার আর্থিক সমস্যার কথা জানতে পেরে মুম্বইয়ের আর্টিস্ট ফোরামও তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
View this post on Instagram