আয়কর দফতরের ‘রেড’-এ উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকা কোথায় জমা পড়ে! ৯৯% মানুষ জানেন না আসল তথ্য
কয়েকদিন আগেই এক বড়সড় আয়কর দফতরের রেড দেখেছে গোটা দেশে। ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি ট্যেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। তার নানা আস্তানায় আলমারিতে জামাকাপড় নয়, রাখা ছিল শুধু কড়কড়ে নোটের বান্ডিল। ৪০ টি মেশিন দিয়েও ৫ দিনের আগে গুনে শেষ করা যায়নি সেই টাকা। সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে ব্যাবসায়ী নেতার বাড়ি থেকে ৩৫৪ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। ধনকুবের তথা কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর নানা আস্তানা থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই টাকা।
আয়কর দফতরের এমন হানা দেওয়ার খবর প্রায়ই সামনে আসে। তবে আয়কর দফতরের পাশাপাশি এমন অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনও এই ধরণের ‘রেড’ করে থাকে। মূলত আর্থিক তছরূপের বিষয়ে পাকা ইনফরমেশন থাকলে তবেই নানা দফতরের থেকে অনুমোদন নিয়ে এই ধরণের রেড করতে হয়। এছাড়াও অভিযান চালানোর সময় সঙ্গে রাখতে হয় পুলিশকে। যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তবে আপনার মনে একবার হলেও এই প্রশ্নটা এসে থাকে যে এই রকমের সরকারি অভিযান থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়, তা আদতে কোথায় যায়? তাহলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে যে উদ্ধারকৃত টাকা গুনে হিসেব করেন কারা। যেখানে এই ধরণের অভিযান চালানো হয়, সেখানের নিকটবর্তী স্টেট ব্যাঙ্কে খবর পাঠানো হয়। ব্যাঙ্কের কর্মীরা এসেই টাকা গোনার এবং তার হিসেব করার কাজটি। তারপর একজন স্বতন্ত্র সাক্ষীর উপস্থিতিতে কোনো ব্যাগ বা বাক্সে এই টাকা ভরে তার সিল করা হয়। এবার সেই টাকা চলে যায় স্টেট ব্যাঙ্কের নিকটবর্তী শাখায়।
তবে এই অভিযানের পর যার বাড়ি থেকে এই টাকা পাওয়া যায়, তাকে টাকার হিসেব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। আদালতে নির্দিষ্ট নথি ৰেবং আয়কর ট্যাক্সের কাগজ দেখাতে পারলেই সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ততদিন অবধি টাকা সিল অবস্থায় রাখা থাকে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখাতেই। তবে টাকার নথি পেশ না করা হলে, সেই টাকা কিন্তু ব্যাঙ্কের আমানত হয়না। সেটিকে জমা করা হয় কেন্দ্র সরকারের কোষাগারে।