Govt Scheme: প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ঢুকবে ৫০ হাজার মানুষের অ্যাকাউন্টে, কারা পাবেন এই সুবিধা!
রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলি বর্তমানে চালু রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বার্ধক্য ভাতা (Government Scheme)। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প চালায় সরকার। বয়স্ক ব্যক্তিরা তেমনি আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন বার্ধক্য ভাতার মাধ্যমে। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু মোট বরাদ্দ প্রায় ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ। রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার। সেই টাকা না পাওয়াতেই বাকি মানুষরা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের। তবে এবার এই ৫০,০০০ উপভোক্তাকেও টাকা দিতে চলেছে সরকার।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের এখনো ১.৫ লক্ষ টাকা প্রাপ্য রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে বর্তমানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রীর মতো একগুচ্ছ প্রকল্প চালানো হচ্ছে। কিন্তু বরাদ্দ টাকা না পাওয়ায় এই প্রকল্পগুলি চালাতে গিয়ে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সরকারকে। উপরন্তু আরো ৫০,০০০ মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তটাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল হবে তা বলা বাহুল্য।
বার্ধক্য ভাতার অন্তর্গত উপভোক্তারা ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা ২০০ টাকা পায় কেন্দ্রের থেকে। ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা কেন্দ্রের থেকে পায় ৩০০ টাকা। তবে রাজ্য সরকারের তরফে ২০২১ সালেই বার্ধক্য ভাতার অর্থ পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বাকি প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তবুও তার মধ্যেই পোর্টালে আরো ৫০,০০০ নতুন উপভোক্তার নাম তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ৫০,০০০ মানুষের কাছেও টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
কারা পাবেন বার্ধক্য ভাতার টাকা
আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
৬০ বছর বা তার ঊর্দ্ধে হতে হবে বয়স।
যাদের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৫৫ বছর বা তার বেশি।