মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee) যখন অভিনয় জগতে আসেন, সেই সময় মহিলারা কেরিয়ার নিয়ে সচেতনতার তুলনায় পরিবারকেই অধিক প্রায়োরিটি দিতে জানতেন। এই কারণে কেরিয়ারের শীর্ষে থেকেও বহু অভিনেত্রী বিয়ের পর ধীরে ধীরে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। গায়ক-সঙ্গীতকার -প্রযোজক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Hemanta Mukherjee)-র পুত্রের সাথে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমীর। কিন্তু বিয়ের পর তাঁর কেরিয়ারে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মৌসুমী।
সত্তরের দশকের অভিনেত্রী মৌসুমী একজন সফল নায়িকা হতে চেয়েছিলেন।ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। হেমন্তবাবুও পুত্রবধূকে বিনোদন জগৎ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছিলেন, তিনি কার স্ত্রী, মেয়ে বা পুত্রবধূ তা প্রাধান্য পায় না। ফলে কেউ নিজেকে দাদার মতো অথবা কাকার মতো বললেও তাঁদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। তবে সকলের সাথে সৌজন্য বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন হেমন্তবাবু। কোনোদিনই আপোষ করতে বা নায়কদের গুডবুকে থাকতে রাজি হননি মৌসুমী। ফলে হাতছাড়া হয়েছে ‘বরসাত কি এক রাত’-এর মতো ফিল্ম।
View this post on Instagram
তবে নিজের কেরিয়ারে একশো শতাংশ দিতে পারেননি বলেই অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)-এর বিপরীতে ‘দেশপ্রেমী’ ফিল্মটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মৌসুমী। প্রথম সারির নায়িকা হতে চাইলেও বারবার কেরিয়ারে এসেছে বাধা। একই কথা বলেছিলেন মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)। তিনি মৌসুমীকে বলেছিলেন, যতবার তাঁর কেরিয়ার ভালো দিকে এগোয়, ততবার তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন যা তাঁর কেরিয়ারে বাধার সৃষ্টি করে। কিন্তু মৌসুমী তাঁকে সংশোধন করে বলেছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অর্থ তাঁর জীবনে নতুন রং আসা।
মৌসুমীর কেরিয়ার তৈরি করতে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। কারণ তাঁর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। ফলে কোনোদিনই কেরিয়ার ও স্টারডমকে মূল্যায়ন করেননি তিনি।
View this post on Instagram