Neel-Trina: প্রজাতন্ত্র দিবসে রক্তদান করে দরিদ্র পথবাসীদের পেট ভরালেন নীল-তৃণা
আজ ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবস। দিল্লির রাজপথ গমগম করছে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজনে। কিন্তু রাস্তার হতদরিদ্র মানুষ সাথে তাদের শিশুরা না খেতে পেয়ে বসে আছে। তাদের দিকে তাকানোর সময় নেই কারোর। এমনও অনেক মানুষ ছিলেন যাঁরা রক্তের অভাবে মারা যান। ঠিক যেমনটা তৃণার মামাও মারা গিয়েছিলেন। তাঁরই উদ্দেশ্যে তৃণা সাহা ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন।
অনেকদিন ধরেই তৃনার ইচ্ছে দুঃস্থ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর। শুধু মুখে বলে নয় কাজে করে দেখালেন তাঁর স্বামী নীল ভট্টাচার্য-এঁর সহযোগিতায়। সঙ্গ দিয়েছেন প্রযোজক রানা সরকারও। আয়োজনে ওঁদের পাশে ছিলেন পুরপিতা সুশান্ত ঘোষ। নীল জানান, সবার সহযোগিতা পেয়েছেন । বিশেষত তাঁর বর্তমান ‘উমা’ ধারাবাহিকের সদস্য, তাছাড়া চেনা-শোনা মানুষজন সবাই সহযোগিতা করেছেন ওঁদের। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসে রক্ত দান করে গিয়েছেন।
শুধুমাত্র এই রক্তদানেই থেমে ছিলেন না। ২৫ জানুয়ারি পথশিশুদের সাথে সাথে গরিয়াহাটের ২০০ জন পথবাসীকেও পেট পুরে মাংস ভাত খাইয়েছেন নীল। দর্শকের প্রিয় গুনগুনের কথায়, ‘ গরিয়াহাটের অফিসে যেতে গিয়ে ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকা মানুষগুলোকে দেখে কিছু না করতে পেরে নিজেদেরকেই অমানুষ বলে মনে হতো ওঁদের’। যাক এতদিন পর ওঁদের জন্য করতে পেরে বেশ খুশি ওই সুখী দম্পত্তি। এমনটা আগেও করেছিলেন নীল-তৃনা। ইয়াসে নিজেদের এনজিওর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন। এমনকি নিজের জন্মদিনেও অনাথাশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে কেক কেটেছিলেন নীল।
শুধু করোনা আবহে কেন যেকোনো আবহেই ভুগতে থাকে রাস্তার না খেতে পাওয়া গরিব মানুষ। ছোট শিশু গুলোও ছুটে বেড়ায় দুটো খাবারের খোঁজে। কত সদ্যজাত সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েরা রাস্তাতেই তাঁদের বাচ্ছাদের নিয়ে পড়ে থাকে। দূর থেকে ভদ্র সমাজ দেখে আর অনেক বড় বড় কথা বলে। ‘উমা’র নায়ক অভিমন্যু ওরফে নীলের কথায়,’ রাজনৈতিক লোভে নয় মানুষের সেবার কথা মাথায় রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এঁর সাথে একজোট আমরা। মানুষের পাশে থাকতে চাই শুধু’।