Digha Tourism: দীঘার সৌন্দর্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সরকারের, সৈকত নগরীতে থাকবে এই বিশেষ চমক
উইকেন্ডের দু’দিনের ছোট্ট ট্যুর হোক বা বিশেষ কোনো মুহূর্তের উদযাপন, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হয় একটাই। আর সেটা হল দীঘা (Digha)। অনেকে আবার ঝাউবনের মৃদু বাতাসে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন দীঘাকে। আবার অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বাংলার এই সমুদ্র সৈকতে। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে যেন একটা আলাদা জায়গা পায়।
দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির। তবে এবার বাঙালির এই সমুদ্র দর্শনের অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি চমকপ্রদ করে তুলতে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়েছে সরকার। তাই এবার নেওয়া হয়েছে এক বড় পদক্ষেপ।
রাজ্যের সৈকত নগরী দীঘাকে রাজ্য সহ বাইরের পর্যটকদের কাছে আরো বেশি করে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকারও। তাই একের পর এক দীঘা উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর এবার সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে দীঘার সমুদ্র সৈকত সহ গোটা নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টিকে। বর্তমানে সরকারের তরফে দীঘাকে সাজিয়ে তোলার মতো নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সৈকত নগরীর পরিছন্নতায় বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে কিছুদিন আগেই একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকার ও প্রশাসনের তরফে। কিছুদিন আগেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি বিশেষ কার্যকরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই। সেই বৈঠকেই দীঘাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে সেসবের মধ্যে দীঘার পরিছন্নতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে।