ইদানিং বিয়ের পরিণতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের পথে যাচ্ছে। করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদ ও ব্রেক-আপের সংখ্যা। তবে পলক তিওয়ারি (Palak Tiwari) তাঁর শৈশবেই বুঝতে পেরেছিলেন বিয়ের সিদ্ধান্ত কখনও তাড়াহুড়ো করে নেওয়া উচিত নয়।
কিছুদিন ধরে পলক ও ইব্রাহিম আলি খান (Ibrahim Ali Khan)-কে নিয়ে সম্পর্কের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বি টাউনে। কারণ পলক ও ইব্রাহিমকে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে একসাথে দেখা যায়। এক সন্ধ্যায় রেস্তোরাঁ থেকে ইব্রাহিমের সাথে বেরোনোর সময় পলক পাপারাৎজিদের ক্যামেরা থেকে নিজেকে বাঁচাতে মুখ ঢেকে ফেলেছিলেন। এরপর অনেকের ধারণা হয়, ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন পলক। কিন্তু পরে জানা যায়, পলক ও ইব্রাহিম খুব ভালো বন্ধু হলেও ব্যক্তিগত জীবনকে স্পটলাইটে আনতে চান না। এই কারণেই পলক সেদিন মুখ ঢেকেছিলেন। তবে প্রায়ই তাঁরা একসাথে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ডিনারে যান।
View this post on Instagram
সম্প্রতি পলক নিজেও মুখ খুলেছেন সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়ে। শৈশবে তিনি দেখেছেন তাঁর মা শ্বেতা তিওয়ারি (Sweta Tiwari)-র লড়াই। শ্বেতার সঙ্গে বেশ কিছুদিন সম্পর্ক থাকার পর বিয়ে হয়েছিল রাজা চৌধুরী (Raja Chowdhury)-র। ভোজপুরি অভিনেতা রাজা বিয়ের পর থেকে কাজ করতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন শ্বেতার রোজগারের ভরসায় থাকতে। তার সাথেই রাজা অত্যধিক মদ্যপান করতেন। ড্রাগের নেশাতেও আসক্ত ছিলেন তিনি। এমনকি পরকীয়াও ছিল তাঁর। একসময় শ্বেতা ও রাজার অশান্তি চরমে ওঠে। শ্বেতা পলককে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু সবকিছুই সীমা ছাড়িয়ে যায়, যখন এক কিন্নর মুম্বইয়ের একটি থানায় রাজার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। এরপরেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় শ্বেতা ও রাজার।
এরপর শ্বেতা তাঁর ছোটবেলার বন্ধু অবিনাশ (Avinash)-কে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়। কিন্তু অবিনাশের বিকৃত মানসিকতার শিকার হয়েছিলেন পলক। তিনি শ্বেতাকে এই ঘটনা জানানোর পর শ্বেতা পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। তবে অবিনাশকে আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ দেননি শ্বেতা। মায়ের জীবনের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পলক মনে করেন, কোনো মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে তাকে ভালো করে বোঝা প্রয়োজন। সঙ্গীকে নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
View this post on Instagram
তবে পলকের মতে, কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েদের পক্ষে অত্যন্ত শক্ত। শুধু তাঁর মা শ্বেতাই নন, সমগ্র বিশ্বের মহিলাদের ক্ষেত্রে এই কথা মনে করেন পলক। সঙ্গীর ভালোবাসা আঁকড়ে ধরতে চাওয়াই একসময় কাল হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের সমঝোতার ভালোবাসা পলক চান না।
পলক এই মুহূর্তে কোনও গসিপকে পাত্তা দেন না। কারণ তাঁর মায়ের প্রায়োরিটি নিজের পরিবার। পলক তাঁর মায়ের পাশে বন্ধুর মতোই থাকতে চান ও মাকে নিরাপদে রাখতে চান।
View this post on Instagram