Bengali SerialHoop Plus

Pallavi Dey: পল্লবীর মৃত্যুর পর জেরায় মুখ খুললেন প্রেমিক সাগ্নিক

রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey)-র ঝুলন্ত মৃতদেহ। পল্লবীর পরিবার ও সহকর্মীরা তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলতে রাজি নন। পল্লবীর বাবা জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিলেন। এমনকি আগের দিন মায়ের কাছে শিখেছিলেন ধোঁকার ডালনার রেসিপি। সেই মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন, এই কথা কেউই ভাবতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে পল্লবীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

প্রাথমিক পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মিলেছে আত্মহত্যার ইঙ্গিত। কিন্তু পুলিশ আপাতত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের অপেক্ষায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পল্লবীর পরিবার পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে পুলিশ খুঁটিয়ে দেখছে, পল্লবীর গলায় দড়ির দাগ কতটা গভীর! ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পল্লবীর গলায় রয়েছে নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, কেউ অন্য কারও গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিলে পুরো গলা জুড়ে দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার নাম কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। কিন্তু কেউ যদি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর থুতনির দিকে থাকে দড়ির দাগ। তাকে বলা হয় নন কন্টিনিউয়াস লিগেচার মার্ক। সেই ক্ষেত্রে পল্লবীর খুনের তত্ত্ব খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ আছে, বিছানার চাদর ফ্যানের সঙ্গে লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন পল্লবী। তবে আত্মহত্যা করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, জিভ বেরিয়ে আসে, পড়ে লালারস। কিন্তু পল্লবীর ক্ষেত্রে তা হয়নি। এর মধ্যেই পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক (Sagnik)-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি বাইরে ধূমপান করতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে আসার আগেই এই ঘটনা ঘটে। এই কারণে পল্লবী বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন না বলে অনুমান পুলিশের।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সাগ্নিক প্রোপোজ করেছিলেন পল্লবীকে। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে 27 শে এপ্রিল থেকে সাগ্নিক ও পল্লবী গড়ফার ফ্ল্যাটে লিভ-ইন করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সাগ্নিকের পরিবার তাঁদের লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধী ছিলেন। পেশায় আইটি কর্মী সাগ্নিক প্রায়ই পল্লবীকে মারধোর করতেন। পল্লবীর সহকর্মীদের একাংশ তাঁর গায়ে মারের আঘাত দেখেছেন। এমনকি পরে জানা গিয়েছিল, সাগ্নিক অন্য এক মহিলার সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছিলেন। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে তাঁর বন্ধু আসতেন সাগ্নিকের কাছে। তাঁদের দুজনের মধ্যেও গড়ে উঠেছিল সম্পর্ক।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

অপরদিকে পল্লবী চিন্তিত ছিলেন আর্থিক কারণেও। গাড়ি সহ একাধিক জিনিস তিনি ইএমআই দিয়ে কিনেছিলেন। কিন্তু ‘মন মানে না’ সিরিয়ালের পর সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না পল্লবী। ফলে তিনি ইএমআই শোধ করার ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন। সাগ্নিক জানিয়েছেন, তিনি পল্লবীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। পল্লবীর মৃত্যুর সময় যাচাই করছে পুলিশ। ফলে পুলিশের তরফে রুজু করা হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

whatsapp logo