Pension Scheme: মাসে ১ হাজার টাকার পেনশন দেবে রাজ্য সরকার, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি
চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে। তাই চালু হয় পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে। কিন্তু যারা চাকরি করেন না, তাদের অবসর জীবন কিভাবে চলবে? এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই ভেবে থাকেন যারা পেনশনভোগী হন না। তবে রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের অবসরকালীন জীবনে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে সরকার।
রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানে বিগত উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এই ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটাতেই চালু করা হয়েছে বার্ধক্য ভাতার। এই প্রকল্পে রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের অবসরকালীন সময়ে ভাতা প্রদান করে থাকে রাজ্য। অর্থাৎ জীবনের যে পর্যায়ে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা অবহেলার পাত্র হন, তাদের আর্থিক স্বাবলম্বীতার লক্ষ্যেই এই ভাতা প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমেই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীর নূন্যতম বয়স হতে হবে ৬০ বছর। এই বয়সের আগে কেউ আবেদন করলে তার আবেদন গৃহীত হবেনা। তবে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে রয়েছে বয়সের ছাড়। কেউ যদি প্রতিবন্ধী হন এবং তার বয়স যদি ৫৫ বছর হয়, তাহলে তিনি এই ভাতার জন্য আবেদনযোগ্য। আর আবেদনের পরেই সেইসব নাগরিক মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা পরই যাবেন।
এই প্রকল্পে আবেদন করা যায় একাধিক উপায়ে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদন করা যাবে। এছাড়াও বিডিও অফিসে এই প্রকল্পে আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েই রি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি যে, আবেদন পত্রের সঙ্গে লাগবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ডিজিটাল রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর নথি।