প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বয়সে ১০ বছরের ছোট প্রেমিক নিক জোনাসের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছে প্রিয়াঙ্কার। বিয়ের পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে হন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। বিয়ের দু বছর হয়ে গেছে। এখন আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা। নিজেদের সুখী দাম্পত্য জীবন প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। দেশি গার্ল এখন স্বামী নিক জোনাসের সাথে সংসার করতে বেশ ব্যস্ত। সংসারের পাশাপাশি এই মুহূর্তে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস ব্যস্ত রয়েছেন লন্ডনে। ‘সিটাডেল’ শোয়ের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা শেষ করেছেন তাঁর আপকামিং ছবি ‘টেক্সট ফর ইউ’র শুটিং।
প্রিয়াঙ্কা যেমন রুপের দিক দিয়ে সেরা তেমনই গুনের দিক দিয়েও। অভিনেত্রী-গায়িকা-প্রযোজক-লেখিকার পর এবার নতুন ইনিংসে পা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিদেশের রাস্তায় অনেক ভারতীয় দেশের খাবার পায়না। ভারতীয় রান্নাকে বড্ডো মিস করে। এবার নিউইয়র্কের রাস্তায় পেয়ে যাবেন ভারতীয় খাবারের সেই অতুলনীয় স্বাদ। আর এর পিছনে আছেন নায়িকা প্রিয়াঙ্কা নিজে। নতুন রেস্তরাঁ খুলতে চলেছেন অভিনেত্রী। স্বপ্নের এই রেস্টুরেন্টের নাম দিয়েছেন ‘সোনা’।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে নিজের নতুন রেস্তোরার কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ”তিনি উচ্ছ্বসিত আপনাদের সঙ্গে সোনার পরিচয় করাতে পেরে। নিউইয়র্কে একটা নতুন রেস্তরাঁ। তিনি ভারতীয় খাবারের প্রতি ভালবাসা তুলে ধরবে। সোনা হল এমন একটা রেস্তরাঁ যেখানে ছোটবেলা থেকে ভারতীয় খাবারের যে স্বাদ নিয়ে বড় হয়েছি, তা নিয়ে আসবে সকলের সামনে। আর এই অতুলনীয় স্বাদ তুলে ধরবেন শেফ হরি নায়েক। যিনি তাঁর দেশের নানা প্রান্তের খাবারের স্বাদ তুলে ধরবেন এখানে। এই মাসের শেষেই পথ চলা শুরু করবে সোনা। সকলের অপেক্ষায় রইলেন।”
এরপরেই রেস্তোরাঁর কাজের সঙ্গে যুক্ত বাকি সদস্য মণীশ গয়াল, ডেভিড রবিন ও ডিজাইনার মেলিসা বোয়ার্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, এই দুইজন বন্ধু ছাড়া তাঁর স্বপ্ন পূরণ করা মোটেই সম্ভব হত না। এছাড়া ধন্যবাদ ডিজাইনার মেলিসা বোয়ার্স এবং গোটা টিমকে। অনুরাগীদের জন্য অভিনেত্রী ২০১৯ সালের ছবিও কিছু শেয়ার করেছেন। যখন এই রেস্তরাঁ তৈরির জন্য প্রথম পুজো করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও নিক জোনাস।
View this post on Instagram
প্রিয়াঙ্কা ও মণীশের যৌথ উদ্যোগেই সোনার পথচলা শুরু। অভিনেত্রীর পোস্টের পর মনীশ প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘একটা নতুন রেস্তোরাঁ খুলতে টিমের সাহায্যের অবশ্যই দরকার পড়ে। বেশ কিছু মানুষ সোনাকে তাঁর জীবনের অংশ হিসেবে পরিণত করতে অনেক সাহায্য করেছে। রেস্তোরাঁর ডিজাইন, মেনু, মিউজিক, নাম সবের ক্ষেত্রেই প্রথম থেকে প্রিয়াঙ্কা সহযোগিতা করেছে। সোনার কোনায় কোনায় রয়েছে প্রিয়াঙ্কার ছোঁয়া। এর জন্য তাঁকে তোমার জন্য অনেক ভালবাসা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আমাদের সোনা খুব শীঘ্রই পৃথিবীর আলো দেখার জন্য প্রস্তুত। তাড়াতাড়ি ২০-তে দেখা হচ্ছে’। এরপর প্রিয়াঙ্কার ফ্যানেরা অভিনেত্রীর নতুন এই পথচলাতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
View this post on Instagram