ছেলের জন্মদিন বলে কথা। সেই সাত সকালে উঠে ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, দই, পায়েস, চাটনি দিয়ে ছেলেকে সাজিয়ে দিয়েছেন মা রচনা। এক্ষেত্রে আর অভিনেত্রী রচনা বা দিদি নং ওয়ান এর সঞ্চালিকা বলা হচ্ছে না। বর্তমানে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন রচনা। এমনকি ছেলে প্রণীলকে আঁকড়েই নতুন করে জীবন শুরু করেন তিনি। এখন সিঙ্গেল মাদার হয়ে দিব্যি সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী।
রচনার আসল নাম ঝুমঝুম ব্যানার্জী। পরিচালক সুখেন দাস তার প্রথম চলচ্চিত্র দান প্রতিদানে (১৯৯৩) তার নাম রাখেন রচনা। কেরিয়ারের শুরুতে উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে আলাপ হয় উড়িয়া ছবির অভিনেতা সিদ্ধার্থ মহাপাত্রের সঙ্গে। শুরু হয় প্রেম, তারপর বিয়ে। কিন্তু, দুর্ভাগ্য, সেই বিয়ে টেকেনি। ২০০৪ এই বিচ্ছেদ হয়ে যায় রচনার।
টলিউডে কাজে নামেন। তখন রচনার হাতে অঢেল কাজ। একের পর এক বাংলা সিনেমায় অভিনয় করে চলেন। দ্বিতীয়বারের মতো সম্পর্কে জড়ান রচনা। ২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন তিনি। জন্ম হয় রচনার একমাত্র ছেলে প্রণীলের। কিন্তু, দ্বিতীয় বিয়েও স্থায়ী হয়নি। অবশেষে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন রচনা।
View this post on Instagram
ছেলেকে একা হাতে মানুষ করার জন্য সরে এসেছেন অভিনয় জগৎ থেকে। শুধু মাত্র রিয়েলিটি শো দিদি নং ওয়ান দিয়েই কেরিয়ারের ইতি টেনেছেন তিনি। এখন রচনা গোটা বাংলার দিদি। তিনি দিদি নং ওয়ান, পাশাপাশি একজন দায়িত্বশীল মা।