ভারতের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে রেশন কার্ডের অধিকার। দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে এই ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর এই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন শপ থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর।
দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের। তবে এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয় বরাদ্দকৃত রেশনের পরিমাণ। তাই রেশন গ্রাহক হিসেবে সঠিক সুবিধা পেতে এই পরিমানগুলি আপনারও জেনে রোলহ জরুরি।
■ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (PHH): এটি হল মূলত কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত একটি ডিজিটাল রেশন কার্ড। মোটামুটিভাবে দারিদ্র্যসীমার আশেপাশে থাকা নাগরিকদের এই রেশন ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হয়। PHH রেশন কার্ড থাকলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাওয়া যায়।
■ বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (SPHH): এটিও হল কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত একটি ডিজিটাল রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি। মূলত দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী নাগরিকরা এই ক্যাটাগরিতে রেশন পেয়ে থাকেন। তাই এই ধরণের রেশন কার্ড থাকলে PHH-এর মতো এই কার্ডেও সমান খাদ্যশস্য মিলবে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাওয়া যায়।
■ অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা রেশনকার্ড (AAY): এটিও কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ডের বিশেষ ক্যাটাগরি। অতি দরিদ্র নাগরিকদের এই ক্যাটাগরিতে এনে একটু বেশিই সুবিধা দেয় সরকার। এক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম আটা অথবা গম নিতে পারেন। সাথে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা কেজি দরে ১ কেজি চিনি পাওয়া যায়। এছাড়াও ২১ কেজি চাল দেওয়া হয় এই কার্ডের অন্তর্ভুক্ত পরিবারকে।
■ RKSY1 রেশনকার্ড: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ড এটি। এখানে রেশন সামগ্রীর পরিমান কিছুটা কম। তাই এই কার্ড থাকলে সেই নাগরিক শুধুমাত্র মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল পাবেন।
■ RKSY2 রেশনকার্ড: এটিও রাজ্য সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ড। তবে এই কার্ড থওকলে রেশনের পরিমান খুবই কম পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কেবল ২ কেজি করে চাল দিয়ে থাকে সরকার।
