Ratna Chatterjee: ‘নারায়ন ছেড়ে গেলেও আমি বাড়ির লক্ষ্মী’, শোভন-বৈশাখীকে কটাক্ষ রত্নার!

Avatar

HoopHaap Digital Media

গত মঙ্গলবার ও বুধবার নিয়ে লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা চলে গোটা বাংলা জুড়ে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি প্রত্যেকে এদিন নিষ্ঠা ভরে মায়ের পুজো করে। সেরকমই নিজের বাড়িতে ( শোভন বাবুর বেহালার পৈতৃক ভিটে) লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করলেন বিধায়িকা রত্ন চট্টোপাধ্যায়। যদিও কাগজে কলমে ওই বাড়ির মালকিন এই মুহূর্তে শোভন বাবুর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। তবে, বর্তমানে ছেলে সপ্তর্ষি ও মেয়ে সুহানিকে নিয়ে বেহালার বাড়িতেই থাকেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।

লক্ষ্মী পুজোর দিন মহা সমারোহে বেহালার বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো সারেন রত্না দেবী। এদিন তিনি নিজেও সেজে ওঠেন লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে। পুজোর জোগাড় করেন নিজের হাতেই। এই নিয়ে টানা ২১ বছর ধরে ওই বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো দিয়ে আসছেন রত্না দেবী।

সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘নারায়ণ’ বাড়ি ছেড়ে গেলেও, ‘লক্ষ্মী’ এই বাড়ি ছেড়ে যাবে না।’ তাঁর কথায়, ‘প্রতি বছর লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে আমি লক্ষ্মী পুজোর অঞ্জলি দিই, আমি এই বাড়ির মা লক্ষ্মী। শোভনবাবু আমাকে মা লক্ষ্মী করেই এনে ছিলেন। মা লক্ষ্মী রয়ে গিয়েছেন, নারায়ন চলে গিয়েছেন। আমি চট্টোপাধ্যায় বাড়ির ছোট বউ। আমি শ্বশুরবাড়ির সব লোকজনকে নিয়ে প্রতি বছর লক্ষ্মী পুজো করি, এবারও সকলে উপস্থিত রয়েছে’।

কিছুদিন আগেও দশমীর সন্ধ্যায় এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত হন এবং সিঁদুর খেলেন। এই নিয়েও রত্না দেবী নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন, তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত রক্ষিতা বলে কটাক্ষ করেন। অবশ্য স্বামী শোভন বাবুর থেকেও পাল্টা কটাক্ষ তিনি রক্ষিতা হিসেবেই পান। এমনকি বৈশাখী দেবী পরিস্কার জানিয়ে দেন যে বেহালার ওই বাড়িতে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তিনি দয়া করে থাকতে দিয়েছেন। এই তিনের যুদ্ধ কোন্দল চলতে থাকলেও, রত্না দেবীর শেষ দাবী আমিই মা লক্ষ্মী এবং ডিভোর্স তিনি কোনোমতেই দেবেন না।

Avatar