Lifestyle: কমলালেবুর খেয়ে খোসা ফেলে দেন? জানেন কি খোসা থাকলেই সমাধান হবে হাজারো সমস্যার!
কয়েকদিন ধরেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে বাংলায়। আর এই শীতকাল মানেই নানা বাহারি ফল ও সব্জির সমাহার। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এই শীতকালের কয়েকটি মাস যেন উদরাভিরামের মাস। আর এই শীতে বাড়িতে খাবার পর হোক কিংবা অফিসে লাঞ্চবক্স শেষ করার পর, কমলালেবুর কোয়া খাওয়ার অভ্যাস সকলের কমবেশি রয়েছে। অনেকেই কমলালেবু খেতেও পছন্দ করেন। শুধু শীত নয়, সব ঋতুতেই কমলালেবু খাওয়া অভ্যেস অনেকের।
এটি খুব দামি ফল নয়, তাই ধনী হোক বা দরিদ্র সকলেই এই ফল খেতে পারে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই সুস্বাদু ফল ত্বক ও মুখ ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী। তবে শুধু ফল নয়, কমলালেবুর খোসাও বেশ উপকারী। শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই, খোসার আশ্চর্য সব গুণাবলী জেনে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে আপনার। তাই একনজরে দেখে নিন, কমলালেবুর খোসা দিয়ে কি কি করা যাবে।
● হজমের সমস্যায়: যদি কারো হজমের সমস্যা থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে কেউ ভোগেন, তাহলে কমলালেবুর ছাল তার জন্য অব্যর্থ টোটকা হতে পারে। এর জন্য কমলালেবুর ছালের টুকরো ও আদা জলে মিশিয়ে সেই জল ফুটিয়ে গেলে উপকার পাওয়া যায়।
● দাঁত পরিষ্কার করতে: দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতেও কমলালেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। প্রথমে কমলালেবুর খোসার উপর একটু জল ছিটিয়ে নিন। সেটি দিয়ে দাঁত মাজলেই শঙ্খের মতো পরিষ্কার হবে দাঁত।
● ত্বকের যত্নে: ত্বক ও মুখের যত্নেও কমলালেবুর খোসা খুব উপযোগী। তাই প্রথমে কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়িয়ে নিন। মুসুর ডাল বেঁটে তাতে এই গুঁড়ো মিশিয়ে মুখের ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের দাগ দূর হবে।
● ব্রণ দূরীকরণে: মুখে ব্রণর সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে কমলালেবুর খোসা কাজে লাগতে পারে। খোসা আলাদা করে কয়েকদিন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর সেটিকে বের করে ব্রণের উপর আলতো ঘষতে পারেন। এতে উপকার মিলবে।
● ঘুমের সমস্যায়: আজকাল ঘুম না হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে তাদের জন্য কমলালেবুর চাল দারুন উপকারী হতে পারে। এর জন্য কমলালেবুর ছাল জলে ভিজিয়ে সেই জলে স্নান করতে হবে। এতে উপকার মিলবে নিশ্চয়ই।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা। কোনরূপ শারীরিক সমস্যায় আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।