যে কোন সংশোধনাগারের পরিবেশ সাধারণ বাড়ির মত নিরিবিলি, আনন্দময়, আরামদায়ক নয়। দৈনন্দিন জীবন যাপনের থেকে কয়েক হাজার গুন আলাদা। যেই লাইফ স্টাইল রিয়া চক্রবর্তী মেইনটেইন করতেন তার সিকিভাগও তিনি বাইকুল্লা জেলে পাননি। মেঝেতেই ঘুমাতেন আর অন্যানদের মতন ডাল-রুতি-ভাত খেতেন। একদম ভিন্ন স্টাইলের জীবন কাটালেন অভিনেত্রী। অবশেষে পেয়েছেন মুক্তি।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মাণশিন্দের ভাষায়, “জেলে আমি রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। বহু বছর বাদে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে জেলে কোনও মক্কেলের সঙ্গে জেলে দেখা করতে গেলাম। ও জেলের ভিতর কী অবস্থায় রয়েছে সেটা নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলাম। দেখে ভাল লাগত, এত কিছুর পরও ভেঙে পড়েননি রিয়া। পজিটিভ থাকতেন। নিজের খেয়াল রাখতেন।”
হ্যাঁ, নিয়মিত যোগা অভ্যাস করতেন রিয়া চক্রবর্তী। নিজে একা করতেন এমনটা নয়। বাকিদেরও এই একই পাঠ দিতেন। সতীশ মাণশিন্দে জানান, জেলে নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নিয়মিত যোগা করতেন রিয়া। জেলের অন্যান্য আবাসিকদের জন্যে নিয়মিত যোগাসনের ক্লাসও নিতেন রিয়া।
সতীশ মাণশিন্দে এও জানান, “ছেলেবেলা থেকেই সেনা বাহিনীর পরিবেশে বড় হয়ে ওঠার কারণে, যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা করে লড়াই করার ক্ষমতা ও ধৈর্য আছে রিয়ার। যাঁরা ওঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রিয়া।”