গতকাল অর্থাৎ ৩ অক্টোবর ছিল সেই দিন যেদিন ভবানীপুর থেকে জয়ের মুকুট নিয়ে ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জিতেই তার প্রথম জবাব ছিল,‘‘নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছিল। তবে ভবানীপুর তার জবাব দিল’’। এবারে একেবারে নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুরেই প্রার্থী হন মমতা। তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
এদিন মমতা প্রায় ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এবং জয়ী হওয়ার পর সাংবাদিক সন্মেলনে যোগ দেন। এদিন তিনি চার জায়গার উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন, যথা শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা, এবং খড়দহ। খড়দহে উপনির্বাচন প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শান্তিপুরে থাকছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটায়হচ্ছেন উদয়ন গুহ। গোসাবায় বাপ্পাদিত্য নস্কর এবং সুব্রত মণ্ডলের মধ্যে যে কোনও একজন প্রার্থী হবে।
এদিকে, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের অনলাইন ফেসবুকের লাইভে এসে দাবি করেন যে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তিনিই হলেন ‘সারোগেট ফাদার’। কেন এমন দাবি? জানা যায়, তিনি যে সময় তৃণমূল করতেন তখন তিনিই প্রথম এই ধরনের কাজ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রশান্ত কিশোর এই কর্মসূচিকে দুয়ারে সরকার নাম দেন। এবং তা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার এও মনে হয়, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য তৃণমূলের জয় অনিবার্য।
তাহলে কি বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ তৃণমূলে ফের ফিরবেন ঠিক যেমনটি বাবুল সুপ্রিয় ফিরলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রুদ্রনীল সাফ জানান, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেদিনই আমার তৃণমূলে ফেরার ডিল হবে।’’