whatsapp channel

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন কুন্তল-সায়নী? ফাঁস হবে কোন রহস্য!

ইডির আতসকাঁচের নিচে এবার সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন থিয়েটার অভিনেত্রী হিসাবে। এরপর ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় কাজ করতে শুরু করেন তিনি। বরাবর স্পষ্টকথনের জন্য বিখ্যাত…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

ইডির আতসকাঁচের নিচে এবার সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন থিয়েটার অভিনেত্রী হিসাবে। এরপর ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় কাজ করতে শুরু করেন তিনি। বরাবর স্পষ্টকথনের জন্য বিখ্যাত সায়নী একসময় শাসক দলের বিরোধিতা করতেন। কিন্তু একরকম হঠাৎই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে দেখে অবাক হয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরাও। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও সায়নীকে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে বসানো হয়েছিল। বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও বহু পোড়খাওয়া মহিলা সদস্যদের পিছনে ফেলে শুধুমাত্র অভিনেত্রী হওয়ার কারণেই সায়নী এই পদ পেয়েছিলেন বলা চলে। কিন্তু গত বছর নিয়োগ দূর্নীতি কান্ডে কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল সায়নীর নাম। কুন্তল বলেছিলেন, সায়নীর বালিগঞ্জের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও দামি গাড়ি তিনিই উপহার দিয়েছিলেন। এমনকি সম্পত্তি কেনা-বেচাতেও তিনি সাহায্য করেছিলেন সায়নীকে। তবে সেই সময় ঘটনাটি চাপা পড়ে গেলেও পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে গত শুক্রবার সায়নীকে ইডির অফিসে তলব করা হয়েছিল।

Advertisements

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের ফাঁকে ইডির অফিসে সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন সায়নী। এদিন তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। কিন্তু সায়নীর কিছু তথ্যে মিলেছে অসঙ্গতি। ফলে আবারও বুধবার, 5 ই জুলাই ইডির তরফে সায়নীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। শোনা যাচ্ছে, কুন্তল ও সায়নীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তবে সায়নী জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

Advertisements

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Saayoni Ghosh (@sayanigh)

Advertisements

গত শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে দুপুর সাড়ে এগারোটায় পৌঁছান সায়নী। টানা এগারো ঘন্টা তাঁকে জেরা করা হয়। রাত এগারোটায় ইডির দফতর থেকে সায়নী বেরোলে তাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ঘিরে ধরেন। জানা যায়, তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। তবে শনিবার সায়নী জানিয়েছেন, কুন্তলের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। দলীয় কর্মকান্ডের সূত্রে তাঁরা একে অপরের পরিচিত ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুন্তল হুগলির তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা ছিলেন।

Advertisements

তবে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবীর সাথে যাওয়ার কথা এখনও ভাবেননি সায়নী। ইডির ঘনিষ্ঠ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সায়নীকে একটি ফর্ম ফিল আপ করতে দেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁকে গত দশ বছরের যাবতীয় বিষয়-আশয়ের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। তবে আপাতত মিডিয়ার পাখির চোখ বুধবার।

whatsapp logo
Advertisements