‘সময় যায় সময়ের পরে, চোখের জলে মৃত্যুশোকে; শুধু পড়ে থাকে অচিন স্মৃতি, প্রিয়জন আজ অমৃতলোকে।’ ৩০ টা দিন কেটে গেছে। প্রিয় ঐন্দ্রিলা নেই এই পৃথিবীতে। সময়ের ঘষা লেগে অনুরাগীদের মনে কিছুটা হলেও মুছে গেছে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুশোক। শুধু এখনো খাঁ খাঁ করছে ঐন্দ্রিলার ঘর, বিছানা, ব্যালকনি, ঝুল বারান্দা আর তার প্রিয়জনদের বুক। স্বজনহারা কান্না থেমে গেলেও এখনো চোখের জল শুকিয়ে যায়নি ঐন্দ্রিলার বাবা, মা, দিদি, দুই পোষ্য আর কাছের মানুষ সব্যসাচীর। এই শোক তো আর ভোলার নয়!
গত ২০শে নভেম্বর। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১.৫৯। ঠিক তখনই দুঃসংবাদ ভেসে এসেছিল ইনটেনসিভ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে। ‘ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই’- এই কথাটা সেদিন যেমন মানতে পারেননি তার পরিবার বা বন্ধু মহলের কেউ, তেমনই মানতে পারেননি বাংলার আপামর জনগণ। সবার চোখেই সেই দিন খোঁজ মিলেছিল একরাশ শুন্যতার। আড়ালে আবডালে চোখ ভিজেছিল অনেকেরই। চোখের জলে সকলেই চিরবিদায় জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। শেষ মুহূর্তে বিয়ের কনের মতো তাকে সাজিয়ে তুলেছিলেন দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। তবে ঠিক সেদিন থেকেই নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী। বিদায় জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। ঠিক যেন এক লহমায় তার সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিষণ্ণ অবকাশে। কিন্তু এখন কেমন আছেন সব্যসাচী?
এই প্রসঙ্গে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়েছে কিছু সংবাদমাধ্যম। কিন্তু এখনো যেন কথা বলতে তৈরি নন সব্যসাচী। কখনো ফোন সুইচ অফ করে রাখছেন। আর ফোন অন থাকলে রিসিভ করে একটাই উত্তর দিচ্ছেন, “আমি কিছুটা ঠিক আছি। আমি এই বিষয়ে সত্যিই কোনও কথা বা ইন্টারভিউ দিতে চাই না। ধন্যবাদ।” এদিকে ঐন্দ্রিলার পরিবারে এখনো সে যেন বাড়ির সেই ছোট্ট মেয়েটি। এই শোক যেন ভুলতে পারছেন না তারাও।
এককথায় বললে, ঐন্দ্রিলা পার্থিব জগৎ থেকে বিদায় নিলেও যেন এখনো রয়ে গেছেন সকলের মনে, হৃদয়ের অবগুণ্ঠনে। তাই হয়তো সেদিন তার আরেক বন্ধু সৌরভ দাস বলেছিলেন, ‘ঐন্দ্রিলা হেরে যায়নি। সে লক্ষ মানুষের মন জিতেছে’।
View this post on Instagram