Hoop PlusTollywood

Abhishek Chatterjee: বাবা অভিষেকের বাৎসরিক কাজে কেঁদে ফেললেন কন্যা ডল

এক বছর আগে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে ঘটেছিল হঠাৎই ছন্দপতন। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee), পরিবারের কর্তা। অভিষেকের আকস্মিক প্রয়াণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় (Sanjukta Chatterjee) ও একমাত্র কন্যাসন্তান সাইনা (Saina), আদর করে যাকে অভিষেক ডাকতেন ‘ডল’ নামে। কালের ঘূর্ণি চক্রে কেটে গিয়েছে একটি বছর। সম্প্রতি সম্পন্ন হল অভিষেকের বাৎসরিক কাজ।

গত বছর 24 শে মার্চ মাত্র আটান্ন বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু চলতি বছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর তিথি পড়েছে 14 ই মার্চ। এদিন অভিষেকের বাৎসরিক কার্য সম্পন্ন করল সাইনা। গত এক বছরেও সংযুক্তা মেনে নিতে পারেননি, তাঁর অভি নেই। প্রতি মুহূর্তে অভিষেককে অনুভব করেন তাঁরা। ফেসবুকে অভিষেকের পেজেই এদিন সংযুক্তা সকলের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন বাৎসরিক কাজের কিছু মুহূর্ত। ছবিতে দেখা গিয়েছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের উপর অভিষেকের বাসস্থান বাৎসরিক কাজের দিন তাঁর পছন্দের রজনীগন্ধায় সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীর কর্তব্য সারতে হল সংযুক্তাকেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি শেয়ার করে সংযুক্তা লিখেছেন, অভিষেকের দিন তাঁর মতো করেই পালিত হয়েছে।

সংযুক্তা বিশ্বাস রাখেন সাঁইবাবার উপর। তাঁর মতে, তিনিই তাঁদের পথ দেখিয়েছেন। অভিষেকও সাঁইবাবার ভক্ত ছিলেন। ফলে নয় ও এগারো তাঁদের লাকি নাম্বার বলে মনে করেন তাঁরা। সেই মতো অভিষেকের বাৎসরিক কার্যের দিন নয়টি শিশুকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন সংযুক্তা। তিনি জানালেন, স্বপ্নে তাঁকে অভিষেক বলেছিলেন মেনু। ছিল লুচি, আলুরদম, ভাত, ডাল, ঝুরো আলুভাজা, দই মাছ, মাটন কষা। বাবার বাৎসরিক কাজের সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিল সাইনা। তবে তার মা তাকে সামলেছেন।

গত বছর ফুড পয়জন হয়েছিল অভিষেকের। এরপর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। স্টার জলসার রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-তে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। শরীর খারাপের কথা বলা সত্ত্বেও জোর করে অভিষেকের বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে তাঁকে শুটিংয়ের সেটে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু শুটিং করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না অভিষেক। বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সেই রাতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিষেক।

whatsapp logo