BollywoodHoop Plus

প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানকে সকলের সামনে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন এই পরিচালক

২০১৩ সালের ৩রা জুন গভীর রাতে আসবলিপাড়ায় এক মৃত্যুসংবাদ। আত্মঘাতী হন কোনও অজানা কারণে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিয়া খানের। জিয়ার মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মুম্বই পুলিশের দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী আত্মহত্যা’ করেছেন। সেদিন কোনো সুইসাইড নোট না পাওয়া গেলেও দু-দিন পর অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। সেই নোটে আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী না করলেও নিজের প্রেম সম্পর্কে প্রতারিত হওয়া ও গর্ভপাতের কথা উল্লেখ করেছিলেন। অভিনেতা সূরজ পাঞ্চলির সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন জিয়া, লিভ ইন করতেন তাঁরা। কিন্তু অভিনেত্রী প্রেগনেন্ট হওয়াতে সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। আর অভিনেত্রী জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও হন সূরজ। এখনো জিয়ার মৃত্যু জট খোলেনি।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জিয়া খানের আত্মঘাতীর ঘটনাকে আরো উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি বিবিসি ‘ডেথ ইন বলিউড’ শিরোনামে ৩টি ভাগে একটি তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে কেবলমাত্র ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যতেই মুক্তি পেয়েছে ‘ডেথ ইন বলিউড’। আর এই তথ্যচিত্র অভিনেত্রীর মৃত্যুর সাড়ে ৭ বছর পর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন জিয়ার বোন করিশ্মা জনসমক্ষে বললেন বলিউডের এক জঘন্য সত্যি। করিশ্মার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভালোই ভাইরাল হয়। জিয়া খানের বোন করিশ্মার বলেন হাসসফুল সিনেমায় অভিনয়ের সময় জিয়াকে যৌন হেনস্থা করেছেন পরিচালক সাজিদ খান।

এই ভিডিয়োতে কারিশ্মা আরো বলেন, সাজিদ স্ক্রিপ্ট রিডিং সেশন চলাকালীন জিয়াকে নিজের সামনে টপ এবং ব্রা খুলে ফেলতে বলেছিলেন। সেই সময় সিনেমার চিত্রনাট্য অনুযায়ী মহড়া চলছিল আর সেই মুহূর্তে জিয়া চিত্রনাট্য পড়ছিল আর হঠাৎ করে সাজিদ তাঁকে আচমকাই অকপট মুহূর্তের সম্মুখীনে ফেলেন। আর সেই সময় তিনি বুঝেই উঠতে পারছিল না কী করবেন আর তখন ছবির শ্যুটিংও শুরু হয়নি। তিনি আরো বলেন, সাজিদের এই কথা শুনে সেদিন জিয়া কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসেছিলেন। সাজদ ভয় দেখিয়ে বলেছিল, এই সিনেমার কনট্রাক্ট রয়েছে জিয়া। যদি তিনি এই সিনেমা ছেড়ে বেরিয়ে আসে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ও বদনাম দুই করা হবে।

আর জিয়া যদি হাউসফুল সিনেমাতে কাজ করেন , তাহলে যৌন হেনস্থার মুখে পড়বেন। তখন জিয়া কি করবে কিছু বুঝতে পারেননি। দুই ক্ষেত্রেই হারটা জিয়ার ছিল’, জানান করিশ্মা। আবার একদিন জিয়ার সাথে করিশ্মা মাত্র ১৬ বছর বয়সে সাজিদের বাড়ি যান করিশ্মা। দিদির সঙ্গে সাজিদের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনিও, তাঁর উদ্দেশ্যেও অশালীন মন্তব্য করেছিলেন সাজিদ। এই প্রথম কোনো মেয়ে সাজিদের বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থার কথা বলেনি। এর আগেও ২০১৮ সালে সাজিদের বিরুদ্দে মি টু’র অভিযোগ করেন অভিনেত্রী-মডেল সলোনি চোপড়া, র‍্যাচেল হোয়াইট, ডিম্পল পল এবং এক সাংবাদিক। কারিশ্মার এই ভিডিও ক্লিপ্স দেখে নেটনাগরিক ফের ক্ষুব্ধ সাজিদ খানের ওপর।

Related Articles