আড়ালে যতই নিন্দার ঝড় উঠুক, চুম্বন দৃশ্য দেখতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে অবশ্যই তা প্যাশনেট হতে হবে। একসময় তো রীতিমত ‘কিস মি’ নামে একটি চকোলেট বাজারে এসেছিল। কখনও সখনও শপিং মলে গেলে এই চকোলেটটির দেখা মিলতেই পারে। রয়েছে ‘সানকিসড’ ব্রোঞ্জার। এত কিসের পরেও অনেকের চুম্বনে আপত্তি। বোধ হয় তাঁরা চূড়ান্ত অবসাদগ্রস্ত। কিন্তু তবু তাঁরাও দর্শকদের একাংশ। ফলে তাঁদের চোখে চুম্বন দৃশ্য যাতে অশ্লীল না হয়ে ওঠে তার জন্য কখনও পরিচালকরা করে থাকেন কারসাজি।
তবে শুধুমাত্র দর্শকরাই নন, বেশ কয়েকজন নায়ক-নায়িকাও রয়েছেন যাঁরা চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করতে চান না। এঁদের মধ্যেই রয়েছেন নিজেকে সদা সর্বদা ‘ভার্জিন’ দাবি করা নায়ক সলমান খান (Salman Khan)। এত বছরের কেরিয়ারে অনস্ক্রিন চুম্বনে বরাবর নারাজ সলমান। ফলে তাঁর সুপারহিট ফিল্ম ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-য় নিতে হয়েছিল কারসাজির আশ্রয়। অবশ্য ভাগ্যশ্রী (Bhagyashree)-ও চাননি সলমানকে চুম্বন করতে। তাহলে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন ওখানেই শেষ হয়ে যেত। ফলে পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatiya) নায়ক-নায়িকাকে কাঁচের এপার-ওপারে চুম্বন করতে বলেন। শট গ্রহণের পর এডিটের ফলে উধাও হয়ে যায় কাঁচ ও দর্শকদের সামনে প্রদর্শিত হয় সলমান ও ভাগ্যশ্রীর লিপলক কিস।
View this post on Instagram
একসময় তো চুম্বনের জেরেই সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা (Sajid Nadiawala)-র সাথে সলমানের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সলমান চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না জেনেও সাজিদ ‘কিক’ ফিল্মে রেখেছিলেন লিপলক কিস। পরবর্তীকালে অবশ্য এই দৃশ্যটি বাদ দিতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে এছাড়াও প্রচলিত রয়েছে ‘চিট’। ক্যামেরায় এমনভাবে শটটি নেওয়া হয় যাতে দেখে মনে হতে পারে, নায়ক-নায়িকা চুম্বন করছেন। কিন্তু কিভাবে শটটি নেওয়া হয়? কোন কোন ফিল্মে রয়েছে এই শট? এখনই সব কিছু ফাঁস করলে চলবে কেন? আফটার অল, ইটস শোবিজ।
View this post on Instagram