Hoop PlusTollywood

Sandhya Mukherjee: সংগীতের সাধিকা, শেষ বয়সেও দুই ঘন্টা রেওয়াজ করতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

সন্ধ্যা আজও হবে। কিন্তু থাকবেন না গীতশ্রী। গতকাল তিনি পাড়ি দিয়েছেন সুরলোকে। অনুরাগীদের প্রশ্ন, এত কিসের যাবার তাড়া? তবু চলে গেছেন তিনি। নব্বইয়ের কোঠায় পৌঁছেও গান নিয়ে থাকতেই ভালোবাসতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। রেকর্ডিং করতেন না বয়সের কারণে। কিন্তু রেওয়াজে ছিল না খামতি।

সন্ধ্যার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মনোময় ভট্টাচার্য (Manomoy Bhattacharya)-র মুখে শোনা গেল এই তথ্য। শোকস্তব্ধ মনোময় হারিয়েছেন তাঁর অভিভাবককে। তিনি জানালেন, সন্ধ্যা ও তাঁর মা একই বয়সী। ফোন করে মাঝে মাঝেই মনোময়ের মায়ের খোঁজ নিতেন সন্ধ্যা। তাঁকে বলতেন, পুরানো কথা না ভেবে সামনে তাকাতে। মনোময়ের কাছে সন্ধ্যার আবদার থাকত গান শোনার। মনোময়ের অনুরোধ থাকত, তাঁকেও গান শোনাতে হবে। কিছুদিন আগেও ফোনে মনোময়কে শুনিয়েছেন ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’। সবার মতো মনোময়েরও মনে হচ্ছে, নিভে গেলেন সন্ধ্যা, সঙ্গীত জগতে নেমে এল অন্ধকার।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by OTT Xpress (@ottxpress)

মনোময় জানিয়েছেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দুই ঘন্টা রেওয়াজ করতেন সন্ধ্যা। তাঁকে জোরে কথা বলতে বারণ করতেন, গলা খারাপ হয়ে যাবে। সন্ধ্যা কন্ঠ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। একবার মনোময়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এত অনুষ্ঠান কেন করেন তিনি! মনোময়ের উত্তর, অনুষ্ঠান না করলে অন্ন জোটাবেন কোথা থেকে! সন্ধ্যা বলেছিলেন, বেশি অনুষ্ঠান করলে গলা খারাপ হয়ে যায়।

স্মৃতিচারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শোকস্তব্ধ মমতা বলেছেন, সন্ধ্যা ছিলেন ছেলেমানুষের মতো। তাঁকে ফোন করলেই আবদার, একটা গান শোনাও মমতা। মমতা বলতেন, সন্ধ্যা গানের দিশারী। ফলে সন্ধ্যার সামনে গান গাওয়ার সাহস হত না মমতার । কিন্তু শেষ অবধি নাছোড়বান্দা সন্ধ্যা, মমতার কন্ঠে গান শুনেই ছাড়তেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Saayoni Ghosh (@sayanigh)

Related Articles