করোনার ছোবল গত বছর কেড়ে নিয়েছে কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (soumitra chatterjee)-কে। কিছুদিন আগেই যমে-মানুষে লড়াই করে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন অনামিকা সাহা (anamika saha)। করোনা কেড়ে নিয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষ (shankha ghosh)-কে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বয়স্ক ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী ‘ফুলেশ্বরী’ সন্ধ্যা রায়।
করোনার উপসর্গ থাকায় কিছুদিন হোম আইসোলেশনে ছিলেন সন্ধ্যা রায়। কিন্তু 8ই মে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল কম। এছাড়াও সন্ধ্যা রায়ের কোভিড নিউমোনিয়া থাকায় অক্সিজেন লেভেল ঘোরাফেরা করছিল 96 -এর আশেপাশে। কিন্তু 9 ই মে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অক্সিজেন লেভেল নেমে যায় 94 -এ।
9 ই মে সকালে তাঁর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, সন্ধ্যা রায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকা সত্ত্বেও সন্ধ্যা চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় চিকিৎসকরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। অভিনেত্রীকে কিছু নতুন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে সহজে তাঁর শরীরে ওষুধের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব নয় কারণ সন্ধ্যার অন্য রোগের ইতিহাস ও বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে।
স্বর্ণযুগে সুচিত্রা সেন (suchitra sen), সুপ্রিয়া দেবী (supriya debi), সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (sabitri chatterjee)-র মত গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীদের পাশে সন্ধ্যা ছিলেন একঝলক মিষ্টি হাওয়া। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে সন্ধ্যার সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। প্রথমে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ করে পরবর্তীকালে নায়িকার ভূমিকায় উত্তরণ সন্ধ্যার জীবনের সবচেয়ে বড় অ্যাচিভমেন্ট। সেই সময় একাধিক নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেও সন্ধ্যার সঙ্গে শমিত ভঞ্জ (shamit bhanja)-এর জুটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল।