কিজি বসু। যিনি থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁকে সর্বক্ষণ উঠতে বসতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে বেড়াতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত চাপে থাকা কিজি ও তাঁর মা অভিনয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিছুতেই যেন বুঝতে পারেন না জীবনকে নিয়ে কী ভাবে এগিয়ে যাবেন। আর সেখানেই সূর্যের রশ্মি হয়ে আলোকপাত ম্যানির। একদিন নিজের কলেজে রেগি মিলারের জার্সিতে তাঁর স্বপ্নের রাজকুমারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তাঁর। আর তার সাথেই অক্সিজেন পাইপের মাধ্যমেই ঘটে জীবনের প্রথম কিস। ম্যানি কিজিকে শেখায় রোগটা কোনো মাধ্যম নয় মরে যাওয়ার। প্রাণখুলে হাসাই হল বেঁচে থাকার মূল উপজীব্য। ম্যানি কিজিকে বাঁচতে শেখালেও সে নিজেই চুপিচুপি চলে যায় বাস্তব জীবনের মতো। এই গল্পে শেখান সুশান্ত এক ছিল রাজা, এক ছিল রানি। দুই মরে গেল, শেষ কাহিনি।’ ছবিটাও ঠিক ততটাই। কিন্তু তারই মাঝে জীবনকে উপভোগ করার পাঠ রয়েছে গল্পের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে।
দিল বেচারায়’ সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে কিজি বাসু চরিত্রে অভিনয় করেন সঞ্জনা সঙ্ঘী। আর প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করে বলিউডের প্রথম সারির সকল অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছাপিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। তিনি নেপোটিজমকে পিছনে ফেলে দিয়ে দিপীকা, আলিয়া,কঙ্গনা, এদেরকে পিছনে ফেলে সবাইকে ছাপিয়ে আইএমডিবি-র তালিকায় শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিলেন চব্বিশ বছরের সঞ্জনা সাঙ্ঘী। আর তিনিই এই ছবিতে ব্রেক আউট নায়িকার শিরোপা জিতে নিলেন। আইএমডিবি বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি সহজেই মেলে
আইএমডিবির রেটিংয়ে ‘ব্রেক আউট’ তারকা নির্বাচিত হয়ে ভীষণই খুশি সঞ্জনা। আর সেই খুশি নিজেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করলেন।নিজের একটি হাসি মুখের ছবি পোস্ট করে সঞ্জনা লেখেন, ”আমি আর হাসি থামাতে পারছি না”। তিনি পাশাপাশি আরো লেখেন,”এই সম্মানের জন্য ধন্যবাদ সকলকে। এ বছরের এই ১ নম্বর ব্রেকআউট তারকা হিসাবে ঘোষণা করা আমার কাছে ছিল স্বপ্নের মতো।” দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখলেন, এই সম্মান তিনি দর্শকদের তারপর তার নিজের। মূলত এই সম্মান দর্শকদের ভালোবাসা থেকে তিনি অর্জন করতে পেরেছেন। আর এই সিনেমায় যাদের জন্য অভিনয় করতে পেরেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর এই পোস্টের পর সুশান্ত অনুরাগীরা ও শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,সঞ্জনার পর IMDB’ r তালিকায় যথাক্রমে ‘মির্জাপুর ২’-এর ঈশা তলওয়ার, হর্ষিতা গৌর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং অহনা কুমরাড়, তৃপ্তি ডিমরি, জয়দীপ আহলাওয়াত, নিত্যা মেনন এবং নীহারিকা লাইরা দত্তের মতোন অভিনেত্রীরা রয়েছেন। যারা প্রথমবার নিজেদের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক মনে ছাপ ফেলে দিয়েছে। আর নেপোটিজম নয় নিজেদের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে।