গত ২৪শে মার্চ না ফেরার দেশে পাড়ি দেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তার প্রয়ানের শোকে টলিউড যেন এখনও নিঝুম। কেউই যেন এই দুঃখ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। এখনও যেন টলিউডের প্রত্যেকটি শুটিং ফ্লোরের আনাচে কানাচে জড়িয়ে রয়েছে অভিষেকের স্মৃতি।
৯০টির বেশি সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক। যার মধ্যে অধিকাংশই বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল। এছাড়াও তখনকার দিনে প্রথম সারির অভিনেতাদের সিনেমায় পার্শ্বচরিত্র বা খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে তাঁকে দেখা যেত।
নিজের অভিনয়ের জন্য শেষবারের মতো পুরস্কৃত হলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাও আবার সেই পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। পঞ্চভুজ সিনেমায় রাঘবের চরিত্রের জন্য তাকে সেরা অভিনেতার শিরোপা দেওয়া হয়। আর এই পুরস্কার এত দুঃখের মাঝেও আনন্দ এনে দিয়েছে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। শেষবারের মতো বাবাকে পুরস্কৃত হতে দেখা মা এবং মেয়ে উভয়েই আপ্লুত।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে সংযুক্তা এই সুখবর শেয়ার করে লেখেন যে তিনি আজই অভিষেকের পুরস্কার বাড়ি নিয়ে আসেন। তার শেষ ছবি পঞ্চভূজের জন্য পোর্ট ব্লেয়ার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান পেয়েছে। এই ছবির পরিচালনা করেছেন রানা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রযোজনা করেছেন সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। সবাইকে বার বার একটা কথাই তিনি বলেন যে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অভিষেকের উপস্থিতি অনুভব করছেন তিনি।
সংযুক্তা জানান যে ছবির প্রতিটি সংলাপ কী অসাধারণ! গায়ে কাঁটা দেবে দর্শকদের। মৃত্যুর কথা, আত্মার কথা অভিষেকের সংলাপে বিদ্যমান। এই ছবিতে রয়েছেন সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্শ্বচরিত্রে।
তিনি আরও বলেন যে একটি ফোন নম্বর অভিষেকের ফোনে খুঁজছিলেন সংযুক্তা। অজান্তেই পরিচালকের নম্বর ডায়াল করে ফেলেন তিনি। তখনও তিনি জানতেন না অভিষেকের শেষ ছবি তার পরিচালনায়। পরিচালকই তাকে সবটা জানান এবং এই পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য তাকে বলেন। তিনি এও বলেন যে অভিষেক তাকে দিয়ে সমস্ত কাজ করিয়ে নিচ্ছে।