সিনেজগতে এই অভিনেত্রীকে দেখলে এখনও বুকের মধ্যে ধড়াস করে ওঠে বহু সিনেপ্রেমীদের। অভিনেত্রীর মায়া ভরা রূপে আজও পাগল কত পুরুষ। তিনি আর কেউ নয়, একাল ও সেকালের কিংবদন্তী অভিনেত্রী বঙ্গ তনয়া শর্মিলা ঠাকুর। শুধুমাত্র বিনোদন জগত নয়। শর্মিলা বাঙালি কন্যা হলেও এখন সে পতৌদি বাড়ির বধূ। এছাড়া সইফ আলি খান ও সোহা আলি খানের মা। সারা আলি খান, ইব্রাহিম, তৈমুর আলি আলি খানের ঠাকুমা ও ইনায়ার দিদা। সব সম্পর্কেই তিনি একশোতে একশো।
নাতি নাতনিদের সাথে সর্বদা মিষ্ট সম্পর্ক এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর। নাতি, নাতনিদের সঙ্গে বরাবরই শর্মিলা ঠাকুমার থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মাঝে কিংবদন্তী অভিনেত্রী তৈমুরের উপর ক্রমাগত ক্যামেরার ফ্ল্যাশ নিয়ে বিরক্তবোধ করেন শর্মিলা ঠাকুর, তেমনি সারা এবং ইব্রাহিম কাছে না থাকলেও সব সময় তাঁর মনের কাছাকাছি বলেন। কখনো তৈমুরের জন্য সারা আর ইব্রাহিমকে কম ভালোবাসেননি। সারাও নিজের আম্মাকে বড় ভালোবাসেন।
নিজের বড় আম্মা শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে মুখ খুললেন সারা আলি খান। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে আম্মাকে নিয়ে তিনি বললেন, শর্মিলা ঠাকুর তাঁর ঠাকুমা, এ কথা ভাবলেই মাঝে মাঝে তাঁর বেশ রোমাঞ্চিত অনুভূতি হয়। ছোট থেকেই তিনি তাঁর অভিনেত্রী ঠাকুমার অভিনয়ের জন্য বড় ভক্ত। যখন আরাধনা সিনেমার ‘মেরে স্বপ্নো কি রানি’ দেখেন, তখন আম্মার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। তখন তিনি মনে করেন শর্মিলা তাঁর ঠাকুমাতো এটা সত্যি। নিজের জীবনে শর্মিলাকে পেয়ে তিনি বেশ খুশি এবং সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন। তিনি নিজের ঠাকুমাকে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন, শর্মিলা একজন তারকার পাশাপাশি মর্যাদা এবং দয়া-মায়ার অপূর্ব সংমিশ্রনের মানুষ। শর্মিলা ঠাকুরকে নিজের জীবনে পেয়ে, কাছে পেয়ে, নিজেকে সবচেয়ে বেশি ধন্য বলেও মন্তব্য করেন সারা আলি খান।
প্রসঙ্গত,সারা আলি খান সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং এর বড় কন্যা। পতৌদি বাড়ির বড় মেয়ে। ২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সময় সারার বয়স ছিল ৯ বছর। তার পর তিনি তাঁর ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে বড় হন অমৃতার কাছেই। তা বলে বাবার প্রতি ভালোবাসা এক বিন্দু কমেনি। শোনা যায় সইফের এর পাশাপাশি শর্মিলার সঙ্গেও সম্পর্ক চরমে ওঠে অমৃতার। একে অপরকে সহ্যই করতে পারতেন না এই শাশুড়ি বৌমার জুটি। যদিও পরবর্তীতে অমৃতা আলাদা হয়ে যার নিজের মতো। বাবা ও সৎ মা করিনা কাপুর খানকে ও বেশ সম্মান করেন অভিনেত্রী সারা আলি খান। এমনকি বাবার সাথে থাকলে খুদে তৈমুরকে নিয়ে সারাদিন কেটে যায় অভিনেত্রীর। শর্মিলা ঠাকুরের বড় নাতনি ‘কেদারনাথ’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক করেন। এরপর ‘সিম্বা’, ‘লাভ আজ কাল’, ‘কুলি নং ওয়ান’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় করেন অভিনেত্রী।