আগামীকাল থেকেই ফের শুরু হচ্ছে বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং!
লকডাউনের জেরে টলিউড ও বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এতদিন বন্ধ ছিল ফিল্ম, সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজের শুটিং। কিন্তু ১৬ তারিখ থেকে শুটিং শুরুর অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে শুটিং শুরু করতে হলে একগুচ্ছ বাধা-নিষেধ মানতে হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ৫০ জন কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে। সকলের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। কর্মীদের যাতায়াতের জন্য প্রযোজকদের গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে করে শুটিংয়ে যাওয়া যাবে না। শুটিংয়ের সময় হচ্ছে সকাল ছ’টা থেকে রাত আটটা। সেটে যথেষ্ট সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।
৮ই জুন থেকে প্রশাসনের নির্দেশে সমস্ত শিল্পী ও কলাকূশলীদের বিনামুল্যে টিকাকরণের সুবিধা করে দিয়েছে ফেডারেশন। চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবনে আয়োজিত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে এখনও পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি সদস্য টিকা নিয়েছেন। টিকাকরণের তালিকায় সাতহাজার সদস্যের নাম রয়েছে।
কিন্তু এর মধ্যেও ফেডারেশনের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (swarup biswas) ১৬ ই মে-র পর থেকে যেসব শিল্পী ও কলাকূশলীদের ব্যাঙ্কে পারিশ্রমিক ঢুকেছে, সেই পারিশ্রমিক অতি সত্ত্বর প্রযোজকদের ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিল্পী ও কলাকূশলীদের প্রশ্ন, অনেক সময় পেন্টিং পেমেন্ট থাকে যা সেই সময় ঢুকেছে, সেই টাকা ফেরত দিতে হবে কেন? অনেকে বলছেন এই বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র ‘শুট ফ্রম হোম’-এর সময় যাঁরা কাজ করেছেন, তাদের জন্য জারি হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ফেডারেশনের মধ্যে অন্তর্বর্তী দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে যাতে সামিল হয়েছেন প্রযোজকরাও। প্রশাসন শুটিং শুরুর অনুমতি দিলেও কাজ কতটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে তা আদৌ বলা যাচ্ছে না।