দেখতে দেখতে ৫৫ তে পা দিলেন সর্বাধুনিক সঙ্গীত শিল্পী অলকা ইয়াগনিক। লতা ও আশা ছাড়াও বেশি কিছু সঙ্গীত শিল্পী আছেন যারা নব্বই দশক মাতিয়ে রেখেছিলেন। উদিত নারায়ণ হোক বা কুমার শানু, জুটি বেঁধে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছিলেন অলকা। আজ তিনি ৫৫ র শিল্পী। এখনও তার গলা একই রকম।
১৯৬৬ সালে কলকাতায় এক গুজরাতি পরিবারে জন্ম অলকার। তাঁর মায়ের থেকেই গান পেয়েছেন। মা শুভা এক জন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।
মাত্র ৬ বছর বয়েসে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাওয়ার মাধ্যমে সঙ্গীতের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অলকা ইয়াগনিক। তারপর ১০ বছর বয়েসে মায়ের হাত ধরে মুম্বই পাড়ি দেন ছোট্ট আলকা।
১৯৮০ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘পায়েল কি ঝঙ্কার’ ছবিতে। এরপর হিন্দি ছবি জুড়ে শুধু তারই গলা। প্রায় ২০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন অলকা ইয়াগনিক।
তিনি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান ৭ বার। ২ বার তিনি সম্মানজনক জাতীয় ফিল্ম এওয়ার্ডস পান। তাছাড়া তিনি আরও অনেক সংগীত পুরস্কারে ভূষিত হন।
শুধু গান নয়, তাকে বিচারকের আসনেও দেখা গেছে। ‘ভয়েস অফ ইন্ডিয়া’, ‘সা রে গা মা পা লিটল চ্য়াম্প’-এর মত বিখ্য়াত শো-এর বিচারকের দায়িত্বে দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে পাওয়া গেছে এই সঙ্গীত শিল্পীকে।
বি টাউনের কাউকেই বিয়ে করেননি তিনি। ১৯৮৯ সালে শিলং-এর ব্যবসায়ী, নাম নীরজ কাপুর, একই বিয়ে করেন অলকা। যদিও মাঝে কিছু বছরের সেপারেশন অবস্থায় ছিলেন তারা, কিন্তু বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে একইসঙ্গে থাকেন অলকা ও নীরজ।