‘মাধবী’ দেখে প্রথম রেসপেক্ট তৈরি হয় তারপর প্রেম।অচেনা মানুষের সঙ্গেই প্রেম করেন শ্রীময়ীর ডিংকা। একদিকে ১৪ বছরের বয়সের ডিফারেন্স অন্যদিকে বন্ধুত্ব, এই পুরো ব্যাপারটা ব্যালান্স হয় যেদিন ডিংকা ওরফে সপ্তর্ষি সোহিনী সেনগুপ্তকে জানায় যে তিনি তাকে ভালোবাসেন এবং বিয়ে করতে চান। সোহিনীর দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, “হি ইজ ইন লাভ উইথ মি৷ অ্যান্ড দ্যাট হি ওয়ান্টেড টু ম্যারি মি৷”
কথা হচ্ছে অসমবয়সী প্রেম নিয়ে। না শুধু প্রেম নয়, বিয়েও। একটা সময় এমন ভাবেই বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হত, যেখানে ছেলের থেকে মেয়ের বয়স কম থাকবে। অবশ্যই এর পিছনে বিজ্ঞান আছে। কারণ, মেয়েদের মেনোপোজ ও প্রজনন ক্ষমতার উপর বিয়ের কিছু দিক নির্ভর করে। সাধারণত ছেলেরা একটু বেশি বয়স পর্যন্তও সেক্সুয়ালি অ্যাক্টিভ থাকে। অবশ্য সোহিনী-সপ্তর্ষির কাছে বন্ধুত্ব আর শুধু প্রেমটাই আসল, বাকি সব নকল। তাই শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি ও সিঁদুর দান করেই একে অপরকে কাছে টেনে নেন। এখন তারা স্বামী- স্ত্রী।
View this post on Instagram
সোহিনীর সপ্তর্ষি যখন নান্দীকারে যোগ দেয় তখন প্রায় কোনও কথাবার্তা হত না সোহিনীর সঙ্গে। এখনও একে অপরের সঙ্গে বরাবর কথা কমই হয় । সোহিনীর কথায়, সপ্তর্ষির নাকি কোনও কাজেই ‘না’ তো নেই-ই, বরং থিয়েটারে রিহার্সালের সময় যে বিশাল ম্যানুয়াল লেবার দিতে হয়, সেগুলো নিজে থেকে ও করে৷ সপ্তর্ষির বয়সের তুলনায় ওর ম্যাচিওরিটি দেখে ভালো লাগে সোহিনীর। সে নাকি একেবারেই নন-জাজমেন্টাল।
কলাপাতায় করে পিৎজা, দইবড়া সার্ভ করা হয়েছিল বিয়ের দিন। কোনো রকম নিয়ম আচার অনুষ্ঠান ছাড়াই দ্বিতীয়বারের জন্য মনের মানুষ খুঁজে নেন ছোটপর্দার পুটু পিসি। বরাবর তিনি নাটক জগতের মানুষ। বড় পর্দাতেও তাকে দেখা গিয়েছে। তবে এই প্রথম ছোট পর্দায় কাজ করছেন সোহিনী। অবশ্য সোহিনীকে বড় পর্দায় প্রথম দেখা যায় পারমিতার একদিন ছবিতে। এরপর তাকে দেখা যায় ইচ্ছে, অলীক সুখ, বেলাশেষে, পোস্ত র মতন মনকাড়া মুভিতে।