সুশান্তের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মোমের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগালেন এই বাঙালি শিল্পী
কখনো তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ আবার কখনও সত্যজিৎ রায়ের প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ‘ময়ূরবাহন’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী’। ‘ক্ষিতদা’ থেকে ‘উদয়ন পণ্ডিত’। আবার কখনো সকলের প্রিয় পোস্তের দাদু। নাম তার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি শুধু অভিনেতাই ছিলেননা ছিলেন কবি সৌমিত্র, গায়ক সৌমিত্র,বাচিকশিল্পী সৌমিত্র, নাট্যকার সৌমিত্র, একলা ঘরে নিজের সঙ্গে কথা বলার সৌমিত্র। নিজের কর্মজীবনের ৬০ বছর তিনি বাংলার মানুষদের তিনি উৎসর্গ করে গিয়েছেন। তিনিই বাংলার মানুষের বেলাশেষে হয়েই থাকবেন। তিনি গত ১৫ ই নভেম্ভর বেলা ১২টা নাগাদ সবাইকে একা রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। এখনো মানুষ তাক্র ক্ষিতদা বলেই জানে। ফেলুদার এই ভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারেননি।
কিংবদন্তির মৃত্যুর পর বাংলার মানুষ নানান ভাবে এই ব্যক্তিকে মনে রাখার চেষ্টা করছেন। আসানসোলের ভাষ্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায় এর ব্যতিক্রম নয়। নিজের বাড়িতে একের পর অসাধারণ মোমের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আসানসোলের এই বাসিন্দা। একের পর এক মোমের মূর্তি বানিয়ে তা স্থাপন করে রেখেছেন স্থানীয় বিদ্যাসাগর আর্ট গ্যালারিতে। ইতিমধ্যে সেখানে গেলেই দেখা মিলবে বহু গুণীজন ও শিল্পীদের। কয়েক মাস আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মোমের মূর্তি তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সুশান্ত বাবু। বিরাট, কোহলি, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, রোনাল্ডোর মতো বহু তাড়কাদের ল মূর্তি রয়েছে এই আর্ট গ্যালারিতে।
এবার এই শিল্পী ফের খবরের শিরোনামে। কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকে এই মানুষকে নানান ভাবে যখন বাংলার মানুষ স্মরণ করতে ব্যস্ত তখন এই কিংবদন্তির মূর্তি গড়ার কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ভাস্কর সুশান্ত রায়। মাত্র ৪৫ দিনে সৌমিত্র’র মূর্তি গড়ার কাজ শেষ করে তা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯ ডিসেম্বর। এই দিন থেকে সেলেব হোক সাধারণ সকলের জন্য মূর্তি উন্মোচন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। মূর্তি উন্মোচন করে মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, বাংলার মোম শিল্পের আর এক অন্যতম নাম সুশান্ত রায়। যার হাতের কাজ দেশে বিদেশে বারেবারে প্রশংসিত হয়েছে। শিল্পী সুশান্ত রায় একটি ইন্টারভিউতে জানান, তিনি পাঁচ বছর আগেই পরিকল্পনা করছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি মূর্তি করবেন। কিন্তু কবে শুরু হবে তার নিশ্চিত ছিলনা। অভিনেতার মৃত্যুর পর পর তড়িঘড়ি কাজ শুরু করেন তিনি। সুশান্তের এই হাতের কাজ বাংলার মানুষের কাছে বেশ প্রশংসা পেয়েছেন।