Bengali SerialHoop Plus

Mithai: ‘পাঞ্জাবি পরা ছেলেটা বারবার দেখছিল’, পুজোর প্রথম অনুভূতি নিয়ে মুখ খুললেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা

আকাশে পুজোর রোদ, ঝলমলে নয় ঝিলমিলে। পুজোর গন্ধ নতুন জামা-কাপড়ে। পুজোর গান, পুজোবার্ষিকী, সব কিছুর মধ্যেই মা আদ‍্যাশক্তির আবির্ভাবের ইঙ্গিত। সেলিব্রিটিদের অনেকেই শেয়ার করছেন তাঁদের পুজোর প্ল্যানিং। কখনও বা কেউ ভেসে যাচ্ছেন নস্টালজিয়ায়। এবার সকলের সাথে নিজের পুজোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিলেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)।

বারাসতের মেয়ে সৌমিতৃষা বরাবর পরিবারকেন্দ্রিক। বাড়ির পাশেই মামাবাড়ি হওয়ার কারণে পুজোয় মামা-মামি, মাসি, ভাই-বোন মিলে খুব হুল্লোড় হত। পুজোর জন্য সবাই একসঙ্গেই ছোটবেলায় নতুন জামা কিনতে যাওয়া হত। অনেক আত্মীয় বাড়ি এসে নতুন জামা দিয়ে যেতেন। সৌমিতৃষার মা সেগুলি গুছিয়ে আলমারি তুলে রাখতেন। তবে একটা তাক অষ্টমীর জন্য আলাদা করে রাখতেন তিনি। সেখানে থাকত অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলীর জন্য বাছাই করা পোশাক। তাতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে রাখতেন সৌমিতৃষার মা। সৌমিতৃষা পোশাকগুলি দূর থেকে দেখলেও ছোঁয়ার অধিকার ছিল না।

সৌমিতৃষার মা তাঁর পুজোর পোশাক পছন্দ করে দিতেন। তাঁর পছন্দ বরাবর অন্যরকম হওয়ার কারণে পুজোর মণ্ডপে সবাই তাঁর পোশাকের প্রশংসা করতেন। সৌমিতৃষার খুব গর্ব হত। অঞ্জলি দেওয়ার সময় প্রথমবার যখন তিনি শাড়ি পরেন, তাঁর মা শাড়ি কিনে নিজে হাতেই পরিয়ে দিয়েছিলেন। সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে গিয়ে দেখেছিলেন, একটি পাঞ্জাবি পরা সুন্দর ছেলে তাঁকে বারবার ঘুরে ঘুরে দেখছে। মনটা ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিল। পুজোর সময় একদিন বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতেন, একদিন বেরোতেন বাড়ির সবার সাথে। মা-বাবাও যেতেন সঙ্গে।

সৌমিতৃষা যথেষ্ট ফুডি। ফলে পুজোর দিনগুলি আমিষ-নিরামিষ মিলিয়ে রকমারি রান্না তো থাকবেই। সঙ্গে থাকবে মিষ্টি। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু 2018-য় চলে গেলেন সৌমিতৃষার দিদা। সব যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। বাড়ি থেকে সমস্ত আনন্দ চলে গেল। এখনও পুজো আসে। কিন্তু আগের মতো নয়। এখন আর আলাদা করে পুজো শপিং হয় না। প্রতি সপ্তাহের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনি-রবিবার ছুটি। ওই দিনগুলি মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে যান সৌমিতৃষা। এভাবে সারা বছর কিছু না কিছু কেনা হয়। সব পরা হয় না। সেগুলিই জমতে থাকে পুজোর জন্য। এখনও পুজোর একটা দিন বন্ধুদের জন্য বরাদ্দ এবং একটি দিন মা-বাবার জন্য। কেরিয়ারের প্রতি মনোযোগ দিতে চান সৌমিতৃষা। তাই কাউকে ভালো লাগলেও সম্পর্কে যাবার ইচ্ছা তাঁর নেই।

গত বছর থেকে করোনা অতিমারী পুজোর সব আনন্দকে আতঙ্কে পরিণত করেছে। এখনও সৌমিতৃষা বুঝে উঠতে পারছেন না কলকাতার পুজোর উদ্বোধনে থাকবেন না বারাসত ফিরে যাবেন। কারণ সবাইকে চিন্তিত করে তুলেছে করোনার তৃতীয় ওয়েভ।

Related Articles