Bengali SerialHoop Plus

Jagadhatri: সিরিয়ালে নেই স্বয়ম্ভূর গুরুত্ব, অবহেলার কারণে ‘জগদ্ধাত্রী’ ছাড়ছেন সৌম্যদীপ!

একসময় দীর্ঘদিন বাংলা সেরা থাকার পর বিগত কয়েক সপ্তাহে টিআরপি বেশ খানিকটা কমেছে ‘জগদ্ধাত্রী’র (Jagadhatri)। তবে তা সত্ত্বেও তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই থাকে জি বাংলার এই ধারাবাহিক। আসলে আর পাঁচটা বাংলা মেগা সিরিয়ালের তুলনায় আলাদা হওয়ায় জগদ্ধাত্রীর দর্শক সংখ্যা অনেক। অন্যান্য ধারাবাহিকে যেখানে নায়িকাকে বাড়ির সাদামাটা বউ হিসেবে দেখানো হয়, সেখানে জগদ্ধাত্রীর রয়েছে আরো একটি পরিচয়। ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার জ্যাস স্যান্যাল সে। বাইরে যেমন অপরাধীদের দমন করে জ্যাস, তেমনি বাড়িতে জগদ্ধাত্রী একজন সুগৃহিনী। কিন্তু নায়িকার চরিত্রের এই ব্যক্তিত্বের সামনে একেবারেই ফিকে নায়ক স্বয়ম্ভূ।

অন্য সিরিয়ালে নায়ক নায়িকার পাল্লা সমান সমান হলেও জগদ্ধাত্রীর ক্ষেত্রে তেমনটা একেবারেই নয়। এখানে নায়িকা জগদ্ধাত্রীই সর্বেসর্বা। স্বয়ম্ভূ চরিত্রটিকে অবহেলা করার অভিযোগ বহুবার তুলেছেন দর্শকরা। জগদ্ধাত্রীর মতো স্বয়ম্ভূও একজন স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার। কর্মক্ষেত্রে জগদ্ধাত্রী তার বস হলেও স্বয়ম্ভূর দক্ষতাও নাকি প্রচুর। কিন্তু দর্শকদের একাংশের অভিযোগ, অ্যাকশন সেই অর্থে করতেই দেখা যায় না স্বয়ম্ভূকে। মা, বাবা, ভাই ছাড়া আর তেমন ডায়লগও নেই তার। এমনকি কথায় কথায়, নায়ককে তার সৎ মায়ের কাছে চড়ও খেতে হয়।

দর্শকদের অভিযোগ, সাধু দা, দেবু দা, উৎসব, মেনন, দিব্যা সেনের মতো চরিত্রগুলির গুরুত্ব স্বয়ম্ভূর থেকে বেশি। চরিত্রগুলির বিভিন্ন শেড দেখানোর পাশাপাশি তাদের অনেক বেশি স্ক্রিন টাইমও রয়েছে। সেখানে নায়ক হয়েও বেশিরভাগ দিন সিরিয়ালে দেখা যায় না স্বয়ম্ভূকে। এমনকি কিছু দর্শক দাবি তুলেছেন, স্বয়ম্ভূকে নিয়মিত দেখানো না হলে তারা জগদ্ধাত্রী বয়কট করবেন।

আর এবার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, স্বয়ম্ভূ চরিত্রটির প্রতি এমন অবিচারের জন্য নাকি জগদ্ধাত্রী সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, এ কারণে নাকি দোলে তেমন উদযাপন করেননি তিনি। এও শোনা যাচ্ছে, তিনি সিরিয়াল ছেড়ে দিলে নাকি তাঁর জায়গায় আসবেন অন্য নায়ক। যদিও সবটাই এখনো গুঞ্জনের পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সৌম্যদীপ।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই