ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তৃতীয় স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে আইনি পথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এরই মাঝে শ্রাবন্তীর নতুন প্রেম নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে টলিপাড়ায়। সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ বাজে ভাবেই ফেঁসে গেছেন অভিনেত্রী।
গত মাসে একটি শিকল পরা বেজি শাবককে কোলে নিয়ে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিটি পোস্ট করতেই দানা বাঁধে বিতর্ক। ছবিটি অভিনেত্রী শ্যুটিংয়ের সময় তুলেছিলেন বলেই জানান।
এমনকি সেই বিতর্কের জল বন্যপ্রাণী সুরক্ষা দপ্তর অবধি পৌঁছায়। সম্প্রতি সেখানে থেকেই অভিনেত্রীকে সমন করা হয়। শ্রাবন্তী হাজিরা দিতেও উপস্থিত হন। ওয়াইল্ডলাইফ কন্ট্রোল সেলের কলকাতার শাখায় অভিনেত্রী হাজির হন। এই নিয়ে তাঁর এটি তৃতীয় বারের তলব। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ৬-৭ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। অভিনেত্রীর সঙ্গে শ্যুটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরও বয়ান নেওয়া হয়। অভিনেত্রীর পূর্ববর্তী বয়ান গুলিতে কিছু অসংগতি লক্ষ্য করেন আধিকারিকরা তাই তাঁকে আবারও তলব করা হয়।
অবশ্য এই ঘটনায় শ্রাবন্তীর গাড়ির চালক ভরত হাতিকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গত ৯ই মার্চ তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। শ্রাবন্তীকেও আগামীকাল বিধাননগর আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ছোট্ট একটি বিষয় থেকে মামলা-মোকদ্দমা অবধি গড়াবে এটি অভিনেত্রী নিজেও আন্দাজ করতে পারেননি। তবে তিনি আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখছেন এবং সরকারের সকল দপ্তরকে নিজের সাধ্যমত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এর ৯,১১, ৩৯, ৪৮, ৪৯, ৪৯এ- ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদি তিনি এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে সাত বছর তাঁকে কারাগারে থাকতে হতে পারে। এ বিষয়ে বনদপ্তরের একজন আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, “উনি যেটা করেছেন তা ঘোরতর অপরাধ। ওনার মত পাবলিক ফিগারদের এরকম কাজ অন্যদের উৎসাহ জোগায়। তদন্তে তিনি আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করুক এটাই আমাদের কাছে কাম্য।”