নতুন বছরে নতুন ছবির কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। কলকাতা ছেড়ে দূরের পাহাড়ের বেশ ব্যস্ত শ্রাবন্তী। অবশ্য অবসর সময় নয়, সিনেমার শ্যুটিং এ উড়ে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ। লকডাউনের আগে সিনেমার কাজ বেশিরভাগ হয়ে গেলেও হয়নি একটি গানের শুটিং। আর সেই অসম্পূর্ণ গানের শ্যুটিং করতেই এখন পাহাড়ের দেশে পাড়ি দিয়েছে অভিনেত্রী। ছবির নাম “বিক্ষোভ”। ২০১৮ সালে প্রথম বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করেছিলেন ওপার বাংলার গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খানের সঙ্গে ‘যদি একদিন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী। ফের আবার নতুন করে কাজ করছেন শ্রাবন্তী ঢালিউডে ফিল্ম ইন্ড্রাস্টিতে। তবে নায়ক কে এখনো জানা যায়নি।
২০২০ সালে ফের অভিনেত্রীর জীবনে দুঃখের ঢল নেমে আসে। আবারো তৃতীয় স্বামীর সাথে বিয়ে ভাঙনের পথে। এখন রোশন ও শ্রাবন্তী দুজনেই আলাদা থাকছেন। ডিভোর্স হবে কিনা তা নিয়ে দুতরফা থেকে কিছু উত্তর মেলেনি৷ এদিকে দুজনে দুজনকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনফলো করে দিয়েছে। এসব নিয়ে দুঃখে ভুলে নেই অভিনেত্রী। বরং একদিকে ছবি, রিয়্যালিটি শোয়ে আঙ্করিং, নতুন জিম ‘ফিটনেস এম্পায়ার’ সব কিছু নিয়ে বেশ নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এই ভাবে কাজের মধ্যে নিজের আনন্দে থাকার চাবিকাঠি খুঁজে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তৃতীয় বিয়ে ভাঙন নিয়ে ট্রোলড হতে হয় অভিনেত্রীকে কিন্তু তাতে কোনো আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর।
অভিনেত্রী যেমন নতুন কাজ নিয়ে নতুন জীবন শুরু করলেন। ছেলে ঝিনুক ও নতুন বছরে নতুন জীবন শুরু করলেন। ঝিনুকের ভালো নাম অভিমন্যু। নতুন বছরে নিজের প্রেমের কথা জানালেন। প্রেমিকার নাম দামিনী ঘোষ। প্রেমিকা দামিনী ঘোষ একজন মডেল। আর তাঁর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে নতুন ছবি পোস্ট করে জানালেন, তাঁদের প্রেমের কথা। এই প্রেম একমাসের নয়, ২০২১ নিয়ে তিন বছর পূর্ণ হল। একা অভিমন্যু না দামিনীও অভিমন্যুর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে স্বীকার করেছেন নিজের ভালবাসার কথা। তিনিও লিখেছেন, ‘একই মানুষের সঙ্গে নতুন আরো একটা বছর শুরু করলাম’। সেই ছবিতে অভিমন্যুর কমেন্ট, ‘লাভ ইউ ইনফাইনাইট বেবি’। এই নিয়ে যেমন শুভেচ্ছাবার্তায় ভরেছে নিজেদের ইন্সটাগ্রাম তেমনি ট্রোলারদের কাছ থেকে ট্রোলড হতে হয়েছে ঝিনুককে।
অবশ্য অভিমন্যু ও দামিনী এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে ছেলের নতুন সম্পর্ক নিয়ে অনেকের প্রশ্ন ছিল মা কি ছেলের প্রেমের কথা জানে। প্রথমে এই নিয়ে কিছু না বললেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুললেন শ্রাবন্তী। তিনি বললেন, ছেলের সম্পর্কের কথা জানেন সবই। আর এই বয়সে তো এ রকম হবেই। আর ঝিনুক ও ট্রোলের উত্তর দিলেন। তিনি বললেন, “মানুষের নোংরা মানসিকতা আছে তাই তাদের বাজে কথা শুনতে হয়। আর দিনের শেষে তিনি তো শ্রাবন্তীর ছেলে”। আর এখন এসব শুনতে শুনতে তিনিও মায়ের মতো অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন।
