Pension: ‘পেনশন’ নিয়ে বাড়ছে ‘টেনশন’! অর্থমন্ত্রকের চিঠিতে পাওয়া গেল পেনশন বন্ধের পূর্বাভাস!

চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে। তাই চালু হয় পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে। এই পেনশন ব্যবস্থায় বর্তমানে কিছু সরকারি কর্মী পেনশন পেয়ে থাকেন।

বর্তমানে বহু রাজ্যে নতুন ও পুরনো পেনশন প্রকল্প নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। এই দুই পেনশন স্কিমের বেড়াজালে আটকে বহু মানুষ। অন্যদিকে পেনশন বন্ধের আশঙ্কাও কাজ করেছে অনেক সরকারি কর্মচারীর মধ্যে। তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ডিএ অসন্তোষের মাঝেই এক বড় সুখবর শুনিয়েছে কিছুদিন আগেই। বর্তমানে কর্মরত বেতনভোগী সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের জন্য ৪ শতাংশ হারে ডিএ ও ডিআর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। যদিও তাতে সন্তুষ্ট হননি আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তারপরেও এই খবর অনেকের কাছেই স্বস্তিদায়ক ছিল।

তবে এবার সরকারি কর্মীদের পেনশন নিয়ে টেনশন বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকারের অর্থ মন্ত্রকের পাঠানো একটি চিঠি। সম্প্রতি কয়েকটি সরকারি দফতরের কর্মীদের একটি করে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থমন্ত্রক। আর এই চিঠিকে ঘিরে বাড়ছে সংশয়। কারণ ইতিমধ্যে বহু রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা। এর মাঝেই এই চিঠি যে কোনো বিশেষ কারণে পাঠানো হয়েছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোই। সেই কারণে এবার পশ্চিমবঙ্গের এই বিশেষ দফতরের কর্মীদের মনে দুশ্চিন্তা বাড়ালো এই চিঠি।

তবে সব সরকারি কর্মীদের এই চিঠি পাঠানো হয়নি। জানা গেছে, শুধুমাত্র কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA), কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (KMWSA) ও হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (HIT)-র কর্মীদের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে। সেগুলি হল, (১) পেনশনের ব্যয়ভার কারা বহন করে? (২) গত দু’বছর কোন খাত থেকে পেনশন দেওয়া হয়েছে? (৩) গত দুই অর্থবর্ষে পেনশন খাতে কত ব্যয় হয়েছে? (৪) পেনশনের মোট ‘কমিউটেড ভ্যালু’ (যদি প্রযোজ্য হয়) কত? (৫) চলতি অর্থবর্ষে অবসরপ্রাপ্ত এবং অবসর নিতে চলেছেন, এমন কর্মীর সংখ্যা কত?( ৬) অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতর নিজস্ব ‘সোর্স’ থেকে পেনশনের অর্থ দিতে পারে কিনা? ইত্যাদি। তবে এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান না জানা অবধি পেনশন নিয়ে টেনশন বাড়ছে কর্মীদের মধ্যে।