বলিউডের অন্যতম প্রযোজক-পরিচালক ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’ রোহিত শেঠি (Rohit Shetty)-র মাধ্যমে পুরোদস্তুর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগণ (Ajay Devgan)। একজন অ্যাকশন ডিরেক্টর হয়েও রোহিত তাঁর পরিচালনার শুরুতে বেছে নিয়েছিলেন কমেডি ফিল্ম। তবে সেখানেও ছিল ভরপুর অ্যাকশন। কিন্তু তাঁর শুরুটাও এত সহজ ছিল না।
সম্প্রতি কার্লি টেলস (Curly Tales)-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোহিত তুলে ধরেছেন নিজের স্ট্রাগলের কথা। অভিনেতা ও অ্যাকশন ডিরেক্টর এম.বি.শেঠি (M.B. Shetty)-র পুত্র রোহিত শৈশবেই পিতৃহীন হন। সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমে আসে দারিদ্র্যের করাল থাবা। ফলে অল্প বয়সেই রোজগারের তাগিদে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল রোহিতকে। ফিল্মের সেটে ঘুরে কাজ যোগাড় করতেন রোহিত। কখনও কখনও মাত্র পঁয়ত্রিশ টাকা রোজগার হত। ফলে খাবার এবং যাতায়াতের মধ্যে তাঁকে বেছে নিতে হত যে কোনও একটা। স্বাভাবিক ভাবেই যাতায়াতকে বেছে নিতেন রোহিত।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল, মুম্বইয়ের বুকে থাকার জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পয়সা ছিল না। ফলে ঠাকুমার সঙ্গে দহিসরে থাকতেন তিনি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিন-চার ঘন্টা হাঁটতে হত রোহিতকে, শুধুমাত্র পয়সা বাঁচানোর জন্য। ফলে মুম্বইয়ের অলি-গলি তাঁর চেনা। তিনি যখন এখনও নিখুঁত ভাবে তাঁর ড্রাইভারকে রাস্তা বলে দেন, তখন তাঁর ড্রাইভার অবাক হয়ে যান। তিনি বোধ হয় ভাবেন, রোহিত হয়তো চোর ছিলেন।
বলিউডে দুটি নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করেছেন রোহিত। একটি হল ‘গোলমাল’, অপরটি ‘কপ ড্রামা’। দুটিই যথেষ্ট হিট। সম্প্রতি কপ ড্রামার অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম ‘সূর্যবংশী’ রিলিজ করেছে। অক্ষয়কুমার (Akshay Kumar), অজয় দেবগণ (Ajay Devgan), রণবীর সিং (Ranveer Singh) অভিনীত এই ফিল্মের বক্স অফিস সাফল্য মুক্তির প্রথম দিন থেকেই চমকে দেওয়ার মতো। করোনা পরিস্থিতিতেও সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক সাফল্য প্রাপ্ত ফিল্মের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ‘সূর্যবংশী’। এছাড়াও রোহিত পরিচালনা করেছেন ‘বোল বচ্চন’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘দিলওয়ালে’-র মতো ফিল্ম।
View this post on Instagram