দেখতে দেখতে একসঙ্গে চলার পথে 11 বছর পার করে ফেললেন অগ্নিদেব (Agnidev chatterjee) ও সুদীপা (sudipa chatterjee)। 11 বছর আগের এক 9 ই জুলাই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন অগ্নিদেব-সুদীপা। সুদীপার পরনে ছিল সাদা রঙের বেনারসী ও অগ্নিদেব পরেছিলেন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি। এর পর তাঁদের জীবনে এসেছে আদিদেব (Adidev)। অগ্নিদেবের প্রথম পক্ষের সন্তানরাও আপন করে নিয়েছেন সুদীপাকে। আসলে সুদীপা খুব ঘরোয়া। তিনি নিজের হাতে রান্না করে মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। তাই তিনি ছাড়লেন না তাঁদের বিবাহ বার্ষিকীর উপলক্ষ্যকেও।
এদিন সুদীপা নিজের হাতে কাবাব রান্না করে খাওয়ালেন সবাইকে। তবে বাড়িতে আর কে পটের বিবি হয়ে থাকেন। তাই সুদীপা ছিলেন ঘরোয়া পোশাকেই। বাড়ির ডাইনিং টেবিলের উপর বারবিকিউ বসিয়ে কাকোরি কাবাব তৈরি করে সবাইকে খাওয়ালেন সুদীপা। সুদীপা তাঁর কাবাব তৈরির ভিডিও ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, এদিন তাঁদের বাড়ির বসার ঘরটি কাবাব গলি হয়ে উঠেছে। অতিথিদের নিজের হাতে কাবাব বানিয়ে খাইয়ে যথেষ্ট আনন্দিত সুদীপা নিজেও। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে আরবিক মিউজিক।
এর আগে অগ্নিদেবের বড় ছেলে আকাশের জন্মদিনেও নিজের হাতে পঞ্চব্যঞ্জন ও পায়েস রান্না করে খাইয়েছিলেন সুদীপা। প্রকৃতপক্ষে উত্তর কলকাতার মেয়ে সুদীপার বাড়িতে রান্নাবান্নার চল ছিল অনেক আগে থেকেই। বনেদী বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির মেয়ে-বৌরাই অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ বানাতেন। সেই ট্র্যাডিশন সুদীপা নিজেও বহন করে চলেছেন। এই ট্র্যাডিশন বহন করেই অনেক কুকরি শো-কে টক্কর দিয়ে সুদীপা হয়ে উঠেছেন ‘রান্নাঘরের রানী’।
সুদীপা নিজে একটি রেস্টুরেন্টও খুলেছেন যার নাম ‘সুদীপার রান্নাঘর’। সেই রেস্টুরেন্টে শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয়, পোষ্যদের জন্যও রয়েছে পুষ্টিকর খাবারের আয়োজন। রেস্টুরেন্টের রান্নার নামেও রয়েছে টলিউডের ভোজনরসিকতার ঐতিহ্যের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে রান্নাকে ক্রমশ সমৃদ্ধ করে চলেছেন সুদীপা।
View this post on Instagram