স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) একই সাথে নন্দিত ও নিন্দিত। নিজের শর্তে বাঁচতে শিখে গিয়েছেন তিনি। কারও সাহায্য না নিয়ে একাই নিজের একমাত্র কন্যা অন্বেষা (Anwesha)-কে বড় করে তুলেছেন স্বস্তিকা। ব্যক্তিগত জীবনকে বারবার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে চাইলেও পারেননি তিনি। তবে তা নিয়ে স্বস্তিকা বিন্দুমাত্র আফশোস করেন না। কারণ তিনি স্বতন্ত্র। স্পষ্টবক্তা স্বস্তিকা কাজ করেন অবলা প্রাণীদের জন্য। বলিউডে বর্তমানে যথেষ্ট জনপ্রিয় ও নিয়মিত তিনি। সুন্দরী হওয়ার পাশাপাশি স্বস্তিকার দক্ষ অভিনয় একটি ফিল্মকে অনায়াসেই টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। ইদানিং শাড়ি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেতেছেন স্বস্তিকা। নিজের মায়ের কয়েকটি শাড়িকে রিক্রিয়েট করেছেন স্বস্তিকা। পাশাপাশি শাড়ির সাথে বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছেন তাঁর পরনের ব্লাউজে।
কিন্তু কিছু সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন নেটিজেন রয়েছেন যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ট্রোল ল্যান্ড বলে মনে করেন। তাঁরা প্রায়ই সমালোচনা করেন স্বস্তিকার ফ্যাশনের। অনেকে তাঁর চেহারাকে কটাক্ষ করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। সাদা তোয়ালে পরে ছবি তুলে তা ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করে নিজের বয়সের প্রতিটি মুহূর্ত ও খুঁত তুলে ধরেছিলেন তিনি। এবারেও ব্যতিক্রম হল না। সম্প্রতি শর্মিলা বসু ঠাকুর (Sharmila Basu Thakur)-এর বুক লঞ্চ ইভেন্টের কিছু ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে সংকীর্ণ মনোভাবের প্রতিবাদ করেছেন স্বস্তিকা। এদিন তাঁর পরনে ছিল কালো রঙের শাড়ি ও কালো রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ।
কিন্তু স্বস্তিকা জানতেন, তাঁকে নিয়ে সমালোচনা অবশ্যম্ভাবী। ফলে ছবি শেয়ার করে স্বস্তিকা নিজেই ক্যাপশনে লিখেছেন, তাঁর হাত মোটা হলে নেটিজেনদের কি যায় আসে! পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, স্লিভলেস ব্লাউজটি আসলে তাঁর মেয়ের টপ। তথ্যটি দেওয়ার পাশাপাশি মেয়ের উদ্দেশ্যে চুম্বনের ইমোজি জুড়েছেন অন্বেষার মা। ক্যাপশনেও উঠে এসেছে স্বস্তিকার রসবোধ। ব্লাউজকে তিনি লিখেছেন ‘বেলাউজ’। সরাসরি স্বস্তিকার মত, হাত মেয়েদের, ইচ্ছা মেয়েদের। অতএব ব্লাউজের মাপও মেয়েদের ঠিক করতে হবে।
“লোকে কি বলবে?”-র বিরোধিতা করেছেন স্বস্তিকা। পরিশেষে বলতেই হবে, যাঁরা মেয়েদের ব্লাউজের বা হাতের সমালোচনা করছেন, তাঁরাও একটু ভেবে দেখবেন, পরবর্তী প্রজন্ম তাঁদের কি বলবে! আফটার অল, তাঁরাও তো ‘লোক’।