রূপা গাঙ্গুলী (Rupa Ganguly) স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ থেকে সরে যেতেই কার্যতঃ এই ধারাবাহিকের টিআরপি নিম্নগামী হতে শুরু করেছিল। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি এই ধারাবাহিকের স্লট পরিবর্তনও হয়েছিল। কিন্তু নির্মাতারা চাননি কম টিআরপির ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’-কে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে। ফলে ধারাবাহিকটি অফ এয়ার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে শেষ দিনের শুটিং। বর্তমানে ‘মেয়েবেলা’-র মৌ ওরফে স্বীকৃতি মজুমদার (Swikriti Majumder) অনেকটা ফাঁকা সময় পেয়ে গিয়েছেন। তবে বিজ্ঞাপন ও ছোটখাট কিছু কাজের শুটিং চলছেই। শুটিংয়ের চাপ না থাকার জন্য গোয়া ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন স্বীকৃতি।
স্বীকৃতি জানালেন, বাস্তবে মৌয়ের সাথে তাঁর কোনো মিল নেই। মুখ বুজে অন্যায় সহ্য করেন না তিনি। তবে দর্শকদের মনে মৌ ও ডোডোর স্থান তৈরি হয়েছিল। তাঁরা আরও একটু দেখতে চাইছিলেন এই জুটির কাহিনী। স্বীকৃতির মতে, রূপা ‘মেয়েবেলা’-র কাহিনী ও তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললেও ধারাবাহিকের কন্টেন্ট সম্পূর্ণ রিগ্রসিভ নয়। কারণ ডোডো তার মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বৌয়ের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছে। প্রতিবাদ করছে মৌ-ও। ‘মেয়েবেলা’-র চিত্রনাট্য টক্সিন দিয়ে থাকলে তার অ্যান্টিডটসটাও দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, আচরণজনিত ভুলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ‘মেয়েবেলা’।
তবে অর্পণের সাথে তাঁর বোঝাপড়া সুন্দর হওয়ার ফলেই অনস্ক্রিন রসায়ন জমাট বেঁধেছিল বলে জানালেন স্বীকৃতি। অর্পণও নিজের কাজ নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস। একসময় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ক্যাম্পাসিং -এ নামী কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার পর তা ছেড়ে অভিনয়ে এসেছিলেন স্বীকৃতি। অভিনয় করতে করতেই বুঝতে পেরেছিলেন এটাই তাঁর স্থান।
আপাতত ওটিটি ও ফিল্মের কাজের জন্য কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থার সাথে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে স্বীকৃতির। আপাতত ধারাবাহিক থেকে কিছুদিনের বিরতি নিতে চান তিনি। কারণ স্বীকৃতি চান, সময়ের সাথে সাথেই মৌয়ের স্মৃতি দর্শকদের কাছে ফিকে হয়ে যাক।
View this post on Instagram