করিনা এবং সইফের পুত্র তৈমুরকে নিয়ে আমজনতার উৎসাহের শেষ নেই। তৈমুর যেন সবার কাছে এক নবাবপুত্তুর। তাঁর মিষ্টি হাসি গোলগাল মুখ, এবং স্নিগ্ধ দুটি চোখ বারবার মন কাড়ে নেটিজেনদের। বাবা-মাকে ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন তিনি। নায়িকার ছবির থেকেও তাঁর ছবি দ্রুতহারে ভাইরাল হয়ে যায়। হবে নাই বা কেন? এমন এক মিষ্টি খুদেকে দেখার উৎসাহ কার নেই? রীতিমতো নবাবের আমেজেই মানুষ হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর একটি ভাইও এসেছে। কিন্ত তৈমুরের যত্নআত্তিতে কিছু কম রাখছেন না তাঁর মা-বাবা।
জন্ম থেকেই তৈমুরকে দেখাশোনা করছেন একজন ন্যানি, যার নাম সাবিত্রী। ছোট থেকেই তৈমুরকে একদম আগলে রাখেন তিনি। তাই অনেক সময় নবাব পুত্তুরের সঙ্গে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। বহু বছর কাজ করতে করতে তিনি খান পরিবারের বিশ্বস্ত একজন হয়ে উঠেছেন। তাঁর এক মাসের বেতন শুনলে ঘাবড়ে যাবেন বহু মানুষ। লজ্জায় পড়বেন কর্পোরেট সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীরাও।
করিনা কাপুরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বরাবর এড়িয়ে যান। কিন্তু তৈমুরের ন্যানির মাইনে যে অফিসের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় তা অনেকাংশেই আন্দাজ করতে পারেন নেটিজেনরা। যদিও তারকা দম্পতি তৈমুরকে আর পাঁচজন সাধারণ ছেলের মতোই বড় করতে চান। কিন্তু তৈমুরের যাতে সমস্ত সুখ আহ্লাদের ঘাটতি না হয় তার জন্যই করিনা নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে ন্যানিকে বেছে নেন।
ঠিক কত বেতন পান তিনি যা অবাক করেছে সবাইকে? একটি সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী তাঁর বেতনের অংক মাসিক দেড় লাখের কাছাকাছি। ন্যানির সঙ্গে প্রকাশ্যে মিডিয়ায় প্রথম ধরা দেন তৈমুর গাড়িতে। পাশে মা করিনা কাপুরকেও দেখা যায়।
নেটিজেনরা হতবাক করার মত একটি কান্ড করে বসেছেন। খুলে ফেলেছেন ন্যানির নামে একটি ফ্যান পেজ। সূত্র অনুযায়ী যদি তৈমুর এবং তার মায়ের পিছনে বেশি সময় ব্যয় করেন তাহলে তাঁর বেতনের অঙ্ক মাসে বৃদ্ধি পায়। কখনো কখনো তা বেড়ে এক লক্ষ পচাত্তর হাজারে এসে দাঁড়ায়। তাঁর জন্য নাকি তৈমুরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বান্দ্রায় আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করা আছে।
এক নামকরা সংস্থা থেকে এই মহিলাকে বেছেছিলেন করিনা কাপুর। একমাত্র তৈমুর তার হাত ছেড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন ন্যানি। এইসব নানা মুহূর্ত বন্দি হয়ে গেছে পাপারাজ্জির ক্যামেরাতে।