কমছে ভালো পাতার জোগান, সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়িয়ে বেড়ে গেল চায়ের দাম
এক ধাক্কায় বেড়েছে বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। দুধ, ভোজ্য তেলের মতো এবার দাম বাড়ল চা পাতার (Tea Leaves)। ভালো মানের চা পাতার উৎপাদন কমাতেই বেড়েছে দাম। উত্তরবঙ্গে প্রথম ফ্লাশ এর চা পাতার দাম মার খাওয়ার পর দ্বিতীয় ফ্লাশ এর চা পাতার দামে কার্যত লক্ষ্মী লাভ হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষদের। তবে দাম বাড়লেও কমেছে চা পাতার উৎপাদন। যে কারণে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দাম।
দ্বিতীয় ফ্লাশে মিলেছে ভালো দাম
আবহাওয়ার কারণেই মূলত এ বছর প্রথম ফ্লাশ এর চা পাতা মার খেয়েছে। এমতাবস্থায় চিন্তা ধরিয়েছিল দ্বিতীয় ফ্লাশ। কিন্তু বৃষ্টি দ্বিতীয় ফ্লাশ চা পাতার দাম প্রথম ফ্লাশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। গত বছর সিটিসি চায়ের নিলামে দাম মিলেছিল কেজি প্রতি ১৮০ টাকা। এ বছর দ্বিতীয় ফ্লাশ এর গোড়াতে এই দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৮৮ টাকা। দ্বিতীয় ফ্লাশ এর চা পাতা শেষ দুটি নিলামে দাম পেয়েছে কেজি প্রতি ১৯২ টাকা এবং কেজি প্রতি ২১২ টাকা।
চাহিদার তুলনায় জোগান কম
উল্লেখ্য, দেশীয় বাজারে দ্বিতীয় ফ্লাশ এর চা পাতার চাহিদা থাকে বেশি। কিন্তু চায়ের বাজারে সঙ্কট কাটলেও দাবি করা হচ্ছে, অধিকাংশ চা বাগানের পাতার মান ভালো নয়। পাতা জোগানেও রয়েছে ঘাটতি। সেই কারণেই বাড়ছে দাম। চা বাগান পরিচালকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের ডুয়ার্স শাখার চেয়ারম্যান জানান, দ্বিতীয় ফ্লাশ এর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভালো মানের পাতার জোগান কম। সেই কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
দাম পাচ্ছে না ছোট চা বাগানগুলি
অন্যদিকে নিলামে দাম ভালো উঠলেও ছোট বাগানের চা পাতার দাম অনেকটাই কম। ছোট বাগানগুলি ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে কাঁচা পাতা বিক্রি করছে কারখানায়। এমনিতেই অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে চা পাতার, সঙ্গে কমেছে মান। ছোট চা বাগানের সর্বভারতীয় সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বলেন, পাতার যা চাহিদা সেই অনুযায়ী কেজি প্রতি ৪০ টাকা দাম পাওয়ার কথা। কিন্তু তুলনায় দাম অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টি ছাড়াও আরো নানা কারণে পাতার মান কমেছে বলে জানা যাচ্ছে।